রিয়াজ উদ্দিন ,পেকুয়া :

পেকুয়ায় মেয়ের বাল্য বিয়ে ঠেকাতে এবার পিতা দিলেন অভিযোগ। গোপনে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীর বাল্য বিয়ে হচ্ছিল। বর মাদকাসক্ত ও অপ্রাপ্তবয়ষ্ক। ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে হচ্ছে এ বিয়ে। মা জোর পূর্বক মেধাবী এ শিক্ষার্থীকে বিয়ের পিড়িতে বসাতে চান। পিতা ওই বিয়ের অন্তরায়। এমতাবস্থায় ছোট্ট মেয়েটির বিয়ে ঠেকাতে পিতা এগিয়ে আসে। উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের চাকমারডুরি গ্রামে বাল্য বিয়ের দিনক্ষন চুড়ান্ত হয়েছে। স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই এলাকার মোস্তাক আহমদের মেয়ে হাদিছা আক্তার (১৪) ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মো: শওকতের ছেলে মো: ছরওয়ার(১৮) এর মধ্যে বিবাহের ঠিকফর্দ্দ চুড়ান্ত হয়েছে। কনে হাদিছা বেগম অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক। তার বয়স হয়েছে মাত্র ১৪ বছর। এ ছাড়া মেয়েটি বারবাকিয়া হোছনে আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। অপরদিকে হবুবর মো: ছরওয়ার উদ্দিনও অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক। তার সবেমাত্র বয়স হয়েছে ১৮ বছর। তবে মেয়ে ও বর ২ জনই অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক হলেও বিয়ের পিড়িতে বসাতে দু’পক্ষের অভিভাবকরা সম্মত হয়েছে। বিয়ে কার্য সম্পাদন করতে কনে ও বরপক্ষ একটি সমঝোতায়ও পৌছেছে। বিয়ের আনুষ্টানিকতা বাকী থাকলেও ঠিকফর্দ্দসহ আনুসাংগিক বিষয়সমূহ চুড়ান্ত করা হয়েছে। সুত্র জানায়, সব ঠিকঠাক থাকলে কনে ও বরের বাল্য বিয়ে খুব শীঘ্রই সমাপ্ত হবে। এ দিকে মেয়ের বাল্য বিয়ে পন্ড করতে জোরালো তৎপর হয়েছেন মেয়েটির পিতা। হাদিছার পিতা মোস্তাক আহমদ এ বিয়ে বন্ধ রাখতে প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ছাত্রীর পিতা মোস্তাক আহমদ ৩ জুন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট পৃথক অভিযোগ প্রেরন করেন। অভিযোগে ছাত্রীর পিতা মোস্তাক আহমদ আর্জিতে উল্লেখ করেছেন, আমার মেয়ের জীবন বাঁচাতে আমি পিতা হিসেবে ছুটে এসেছি। কিছুতেই বাল্য বিয়ে মেনে নেওয়া যাবেনা। মেয়েটি মেধাবী ছাত্রী। অন্যদিকে যে ছেলেকে সপে দেয়া হচ্ছে সে মাদকাসক্ত। বয়সও কম। আমার স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম সংসারে অবাধ্য। স্বামী ও সংসারের প্রতি তার কোন দায়বদ্ধতা নেই। পরকীয়া সম্পর্ক থাকায় আমাকে বিতাড়িত করেছে। মেয়ের ভবিষ্যত নষ্ট করতে এ বিয়ে। আমি নিষেধ করেছি। এরপরও বিয়ের জন্য চেষ্টা করছে। দেশের আইনকে এ ভাবে অবজ্ঞা করে বিয়ে হলে এর কুফল সমাজে ছড়িয়ে পড়বে।