মোঃ ফারুক ,পেকুয়া(কক্সবাজার):

এমনিতেই ছোট সেতু। সেতুর মাঝখানে ছোট- বড় গর্ত। ভাঙা দুই পাশের রেলিং। দিনে কোনো রকমে হেঁটে পার হওয়া গেলেও রাতে একটু বেখেয়াল হলেই পড়তে হয় দুর্ঘটনায়। তারপরও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও শতশত যান চলাচল করছে এই সেতু দিয়ে। এ অবস্থা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। যে কোন মুহুর্তে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি নদীতে ধসে যেতে পারে।

এতে যানচলাচলসহ পারাপারে মারাত্মক দুর্ঘটনার শংকা দেখা দিয়েছে। কিন্তু সেদিকে কারও কোনো নজর নেই।

এমন করুণ হাল পেকুয়া উপজেলার পঁচা কইরলা খালের ওপর নির্মিত বারবাকিয়া- রাজাখালী সীমান্ত সেতুটির।

জানা গেছে, ১৯৯৩-৯৪ সালে দিকে বারবাকিয়া হয়ে রাজাখালী ও বাঁশখালীর মানুষজনের চলাচলের জন্য পঁচা কইরলা খালের উপর একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। যার দৈর্ঘ্য ২৪’৪০ মিঃ। সেতুটি একদম ছোট হলেও হাজার হাজার মানুষ ও শতশত যানববাহন চলাচল করে থাকে। এছাড়াও লবণ ও মৎস্য পরিবহণের গাড়িও পারাপার হয় প্রতিদিন। বেশ কয়েকবছর আগে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ন হয় পড়ে। বর্তমানে এ সেতুটির মাঝে গর্ত সৃষ্টি হয় আরো বেশি মারাত্বক আকার ধারণ করেছে।

সেতুটি সঠিক ভাবে পরিকল্পনা ও টেকসই ভাবে নির্মিত না হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের এই সেতুটি পাশে এতই ছোট যে দুটি রিক্সা পর্যন্ত একসাথে চলাচল করতে পারেনা। মালবাহী গাড়ি তো দুরের কথা যাত্রীবাহী কোন গাড়ি ব্রীজে উঠলে কম্পন সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন সময় ঘটছে দুর্ঘটনাও, এসব দুর্দশা দেখার যেন কেউ নাই!

বারবাকিয়ার বাসিন্দা মামুনুর রশীদ বলেন, আশপাশের লোকজন চাঁদা তুলে মাঝেমধ্যে সেতুর ভাঙন অংশে বাঁশ, সিমেন্ট ও বালু দিয়ে মেরামত করে। কিন্তু কয়েক দিন পর সেগুলো আবার ভেঙে যায়। ফলে কষ্ট থেকেই যাচ্ছে। রাতে সেতু পার হওয়ার সময় খুবই সতর্ক থাকতে হয়। অসতর্ক হলে গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

রাজাখালীর বাসিন্দা শাহাদত হোসেন বলেন, আমাদের জন্য সেতুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঝূ্ঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বেশ কয়েকবছর ধরে। জনপ্রতিনিধি আসে আর যায় কারো যেন মাথাব্যথা নাই। এভাবে সেতুটি পড়ে থাকলে বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে স্থানীয়রা দ্রুত সমস্যার সমাধান ও দূর্ঘটনা এড়াতে এই পয়েন্টে টেকসই নতুন ব্রীজ নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান।