মোহাম্মদ আকিব, উত্তর মহেশখালী:

কক্সবাজার ল‍্যাবে মহেশখালী উপজেলা নমুনা পরীক্ষায় অনীহা প্রকাশের অভিযোগ দীর্ঘদিন থেকেই। বেশ কিছু সংগৃহিত নমুনা জমা হলেও পাওয়া যাচ্ছে না রিপোর্ট! এমন অভিযোগ সচেতন মহলের।

সচেতন মহল বলছেন,  বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করতে থাকে করোনা ভাইরাস। বর্তমানে যা মহামারি আকার ধারণ করেছে। তার মধ্যে কক্সবাজার জেলা অধিক সংক্রমিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন‍্যতম। কিন্তু পুরো জেলাজুড়ে করোনা পরীক্ষার একটিই ল‍্যাব থাকায় অনেকসময় সংগ্রহকৃত নমুনা সমূহের রিপোর্ট নিয়মিত প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। তবে স্বল্পসংখ‍্যক হলেও কক্সবাজার সদর, চকরিয়া, উকিয়া এবং রামু সহ বিভিন্ন উপজেলার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়মিত প্রকাশিত হলেও জেলার অধিক সংক্রমণজনিত উপজেলা সমূহের মধ্যে অন‍্যতম -দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী হতে সংগ্রহকৃত নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে না রিপোর্ট। যদিও প্রতিদিনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত হতে সংগ্রহ করা হচ্ছে অসংখ্য নমুনা।

তথ্য মতে, গত মাসের ২৬ তারিখের পূর্বে সংগ্রহকৃত ৯০ টি নমুনা চলতি মাসের ০২ তারিখ অর্থাৎ টানা ৮ দিন পড়ে থাকার পর অবশেষে মাত্র ১০ টি নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় ২ ই জুন। তন্মধ্যে উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মহিউদ্দিন (৩৬) এবং ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের শফিউল্লাহ(৩৪) নামের দুজন ব‍্যাক্তির রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে রিপোর্ট আসার পূর্বেই করোনা শনাক্ত দুজন আগের চাইতে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এতে করে অজান্তেই ছড়াচ্ছে প্রাণঘাতী ভাইরাস।

জানা গেছে,  ২৬ মে’র পূর্বে সংগ্রহকৃত নমুনা সমূহের মধ্যে বাকি থাকা আরো ৮০ টি নমুনার রিপোর্টের কোনো খবরাখবর নেই। সেই হিসেবে ২৬ তারিখের পর থেকে এখন পর্যন্ত সংগ্রহকৃত নমুনা সমূহের রিপোর্ট পাওয়ার কথা ভাবাই দুষ্কর। যেই রিপোর্টের জন‍্য গুণতে হবে কমপক্ষে পনেরো থেকে বিশটা দিন।

অন‍্যদিকে ততদিনে অনেকেই হয়তো সুস্থ হয়ে যাবেন। এবং ততদিনে তারা ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিবে পরিবার-পরিজন এবং প্রতিবেশি সহ অনেকের মাঝেই।যেমনটি ঘটেছে ছোট মহেশখালী এবং বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মহিউদ্দিন এবং শফিউল্লাহ’র ক্ষেত্রে। যার কারণে নমুনা পরীক্ষার মাধ‍্যমে সংক্রমণ বিস্তারের প্রচেষ্টা অনেকটা বৃথা বললেই চলে।

এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহফুজুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার অধিক সংক্রমণজনিত অঞ্চলের মধ্যে অন‍্যতম হলেও পুরো জেলার সব নমুনা পরীক্ষার একমাত্র স্থান কক্সবাজার ল‍্যাব। যার কারণে নিয়মিত নমুনা প্রকাশ সম্ভব হয়না। তবে মহেশখালী উপজেলার নমুনাসমূহের রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে আরেকটু গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। জেলার চকরিয়া উপজেলায় আরেকটি ল‍্যাব স্থাপনের কাজ চলছে, সেটি চালু হলে এবং কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টিতে এই ভোগান্তি অনেকটা কমে আসবে বলে আমি মনে করি।’