ইছমত-ই-ইলাহী


ভয়ানক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ১০ কোটির মত সামরিক সদস্য অংশ নেন এবং ৫ থেকে সাড়ে ৮ কোটি মানুষ মৃত্যুবরণ করে এবং বিশ্বে প্রথম পারমানবিক বোমার প্রয়োগ করা হয়।

প্রায় ৩০ টি দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং দুইটি সামরিক জোটের সৃষ্টি হয়। এবং সেই যুদ্ধে আমরাও অর্থাৎ বৃটিশ ভারত ও জড়িয়ে পড়ে।

ফেনী এয়ারফিল্ড , চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট, দোহাজারি এয়ার ফিল্ড, চিরিঙ্গা এয়ারফিল্ড এবং কক্সবাজার এয়ারপোর্ট ব্যবহারের মাধ্যমে মিজোরাম থেকে আকিয়াব পর্যন্ত বৃটিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করা হত।
যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সামরিক কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় চিরিঙ্গা এয়ারফিল্ড হতে প্রধানত জাপান কে পরাজিত করার লক্ষ্যে আরাকানে যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়।

জাপানের যুদ্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে দেয়া, জাপানি জলযানের ক্ষতি সাধন অর্থাৎ মিয়ানমারের উপকূলীয় অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ নেয়া বা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার উদ্দেশ্যে এই এয়ারবেস বানানো হয়।

বার্মার আরাকান যুদ্ধে রসদ সরবরাহ, সৈন্য পরিবহন এবং এয়ার স্ট্রাইক পরিচালনা করা ছিল এই এয়ারবেসের প্রধান দায়িত্ব।
বৃটিশ রয়েল এয়ারফোর্স এর ২১১ স্কোয়াড্রন ১৭৭ স্কোয়াড্রন সহ অনেকেই দায়িত্ব পালন করেছে এখানে
১৯৪৪ সালের মাঝামাঝি হতে ১৯৪৫ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত পুরোদমে সচল ছিল এই ঘাঁটি।

( ছবি সমূহ বৃটিশ রয়েল এয়ারফোর্স, অস্ট্রেলিয়ান ওয়ার মেমোরিয়াল, ঘাঁটিতে দায়িত্ব পালনকারী অফিসারের পেইজ এবং স্কোয়াড্রন ২১১ থেকে নেয়া)