বার্তা পরিবেশক:

কক্সবাজার জেলা অটো রিক্সা টেম্পো পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং ১৪৯১) অফিস দখলে নিতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি মাটিতে ফেলে এবং অফিসে ভাংচুর করে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ কওে অপপ্রচার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১জুন) বিকালে কথিত শ্রমিক নেতাদের নেতৃত্বে একটি বহিরাগত চক্র এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এই ঘটনায় সাধারণ শ্রমিক ও আওয়ামী লীগ, শ্রমিকলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

কক্সবাজার জেলা অটো রিক্সা টেম্পো পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিক আহমদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে কথিত শ্রমিক নেতা জালাল আহামদ ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাশেদুল মোস্তফা নেতৃত্বে একটি চক্র সংগঠনের নেতৃত্ব ও অফিসটি দখল করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। বিষয়টি আদালত এবং শ্রম অধিদপ্তর পর্যন্ত গড়ায়। আদালতের রায় এবং শ্রম অধিদপ্তরের তদন্তে জিন্নাত আলী-ছিদ্দিক আহমদ এর কমিটি বৈধতা পায়। সে মোতাবেক অফিসের দখল স্বত্বও তারা পায়। সে মোতাবেক দীর্ঘদিন ধরে বাজারঘাটাস্থ অফিসটি তাদের দখলে থাকে।

এর মধ্যে করোনার কারণে লকডাউন হলে অফিসটি বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু লকডাউন খুলে দেয়ার খবর পেয়ে দুই দিন আগে তালা ভেঙে অফিস দখল করে নেয় কথিত শ্রমিক নেতা জালাল আহামদ ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাশেদুল মোস্তফা নেতৃত্বে একটি চক্র। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জিন্নাত আলী-ছিদ্দিক আহমদ কমিটি নেতৃবৃন্দ। সে মোতাবেক সোমবার জালাল আহামদ ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাশেদুল মোস্তফার দেয়া তালা ভেঙে নতুন তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু সে খবর পেয়ে ষড়যন্ত্রের নীল নকশা আঁকে জালাল আহামদ ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাশেদুল মোস্তফা। পরিকল্পনা মোতাবেক আজ সোমবার বিকালে আকস্মিক জালাল আহামদ ও রাশেদুল মোস্তফা কয়েকজন ভাড়াটে লোকজন নিয়ে এসে অফিসে ভাংচুর চালায় এবং বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি মাটিতে ফেলে দেয় এবং তার ছবি তুলে। পরে ছবিগুলো ফেসবুকে প্রকাশ করে জিন্নাত আলী ও ছিদ্দিক আহমদের কমিটির লোকজন হামলা চালিয়ে বলে অপপ্রচার চালায়।

এদিকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি মাটিতে ফেলে অবমাননা এবং অপপ্রচারের ঘটনা জানাজানি হলে শহরজুড়ে তোলপাড়া সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় সাধারণ শ্রমিকসহ আওয়ামী লীগ, শ্রমিকলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। প্রকৃত ঘটনা জেনে তারা পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি মাটিতে ফেলে অবমাননা এবং অফিস ভাংচুরের দায়ে জালাল আহামদ ও স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা রাশেদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সোচ্চার হয়ে উঠে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা অটো রিক্সা টেম্পো পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিক আহমদ বলেন, অফিস দখল করার কুমানসে জালাল আহামদ ও স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা রাশেদুল মোস্তফা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি মাটিতে ফেলে অবমাননা এবং অফিস ভাংচুর করে। তারা ছবি তুলে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি- এই ঘটনার সাথে আমাদের কমিটির কেউ জড়িত নেই। জালাল আহামদ ও স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা রাশেদুল মোস্তফা পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি মাটিতে ফেলে অবমাননা এবং অফিস ভাংচুর করার ঘটনার জন্য আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক চাই। প্রশাসনকে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি। না হয় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি মাটিতে ফেলে যে অবমাননা করা হয়েছে তার জন্য আন্দোলনে যাবো আমরা।

এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের বক্তব্য জানা যায়নি।