সংবাদদাতা:
হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাল কারসাজি করে নিজ ঘরেই তুলে নিয়েছেন ইউপি মেম্বার। স্ত্রী ও ছোটভাইয়ের নাম তালিকায় বসিয়ে এ চাল কেলেংকারী করেছেন কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার দিদারুল ইসলাম।

প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজির চাল বিতরনের তালিকায় ইতিপূর্বে স্ত্রী ও আপন ছোটভাই মোহসিন মিয়ার নাম যুক্ত করে দেন ইউপি মেম্বার দিদার। ওয়ার্ডের বাঁশঘাটার বাসিন্দা হতদরিদ্র ও দিনমজুর মোঃ লোকমান হাকিম এর আগে তালিকায় থাকলেও কৌশলে তাকে বাদ দিয়ে মেম্বার নিজের স্ত্রীর নাম তালিকাভূক্ত করেন। একইভাবে বিধবা রশিদা বেগমের স্থলে আপন ছোটভাই মোহসিন মিয়ার নাম সংযুক্ত করেন। এভাবে কয়েক দফায় ১০ টাকা কেজির চাল উত্তোলন করেন দিদার মেম্বার।

এলাকাবাসী জানান, দিদার মেম্বার ও তার ছোটভাই মোহসিন মিয়ার পরিবার একান্নবর্তী। ঈদগাঁও বাজারে তাদের যৌথ মালিকানায় ফার্নিচারের দোকান, ফোম ও বেডিং এর দোকান, হার্ডওয়ার দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব ব্যবসা দেখাশোনা করে মোহসিন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, উচ্ছৃঙ্খল ও মারদাঙ্গা স্বভাবের জন্য মোহসিন মিয়া এলাকায় চরম এক আতংকের নাম। ফলে অন্যজনের নামে বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ করলেও ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করছেনা। স্বচ্ছল হলেও দিদার মেম্বার দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল নিয়ে নয়-ছয় করেছেন। মেম্বার কর্তৃক এভাবে গরীবের চাল আত্নসাৎ নিয়ে এলাকায় চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। অভিযুক্ত দিদার মেম্বার এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “আমার ভাই হলেও সে মানুষ, তাই চাল পাওয়ার অধিকার রাখে”।

স্ত্রীর নামেও ১০ টাকার চাল উত্তোলনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে মাষ্টার রোল এখনো আসেনি বলে ফোন বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুর ছিদ্দিক বলেন, উক্ত চাল নিয়ে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের ব্যাপারটা নজরে এসেছে, ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।