সিবিএন : টগবগে যুবক গোলাম মোস্তফা পারভেজ। ঠিকাদারীও করেন। তারুণ্যে ভরা চাহনী । সামাজিক কর্মকান্ডে শহর পাড়া মহল্লা দাপিয়ে বেড়ানো শখ। চকরিয়া বাড়ি । তার করোনা ভাইরাস টেষ্টে গত বুধবার পজেটিভ এসেছে। তখন থেকে চকরিয়া আইস্যোলেশন হাসপাতালে ভর্তি আছে। কঠোর ভাবে মেনে চলছে ডাক্তারের পরামর্শ। আজ ২২মে আইস্যোলেশন থেকে দেয়া তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাস সবার নজর কাড়ে ।  নিজের ভুল স্বীকার করে তার বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ফেসবুকে।  স্ট্যাটাসটি সবাইকে সতর্ক হতে সাহায্য করবে বলে সিবিএন’র পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল।….

 

“আমার মেজ আব্বা শিব্বির আহমদকে তখন থেকে বলে আসছিলাম মসজিদে যেন ৫ জনের চেয়ে বেশি মানুষ নিয়ে নামাজ না পড়া হয়। উনি পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাত সহকারে পড়তেন। করোনাকে একদম বিশ্বাসই করতেন না! মসজিদের ইমাম (আমার অন্য চাচা) নিষেধ করলেও উনার কথা শুনতেননা, পাড়ার বাকি মুসল্লিদেরও উসকানি দিতেন।

কিছু বললে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বলতো কি করোনা, বরোনা? কেউ একটু দুরত্ব করে দাড়ালে বলতো আমার পাশে দাড়া। মসজিদে থেকে বের হলে মুসল্লিদেরকে বলতো অন্য মসজিদে সবাই নামাজ পড়তে পারলে আমাদের মসজিদে কেন পারবে না? অনেকবার মাস্ক ছাড়া চলা-ফেরা করতে দেখেছি উনাকে। তাই এরপর থেকে আর কিছুই বলিনি।

আজ জ্বর, কাঁশি শুরু হওয়াতে তিনি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন! কিন্তু নমুনা দিতে পারেন নি, দিতে পারবেন শনিবারে। এরই মধ্যে তার করোনাক্রান্ত হওয়ার আশংকায় বাড়ি থেকে ছেলেরা বৌ সহ এবং বেড়াতে আসা মেয়ে স্বামীকে নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে গেছে! উনার মত বিব্রতকর পরিস্থিতি কিংবা বিপদে পড়তে না চাইলে এখনই সচেতন ও সতর্ক হোন সবাই।

আমার করোনা হইছে কারণে-অকারণে বাড়ি থেকে বের হয়ে ঘুরা-ঘুরি করছি তাই। স্বীকার করছি এটা আমার ভুল ছিল।

সবাই ঘরে থাকুন। নিরাপদ থাকুন। সুস্থ থাকুন।”