মুঃ মুস্তাকিম হুসাইন ,ভৈরব, কিশোরগঞ্জ :

সাইক্লোনের মত গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় আম্পান গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। উপকূলীয় ৭ জেলায় প্রচুর গাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে, গাছপালা, জমির ফসলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার বাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্রবাহিত হয়েছে। বেশীরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। তবে সরকার আগেভাগেই মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্র সরায়ে নেওয়ার কারণে হতাহতের পরিমাণ কম হয়েছে। সুপার সাইক্লোনের ক্ষমতাসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় আম্পান ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বাংলাদেশে ঢুকেছিল। ক্রমেই তা দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঢাকা – জামালপুর অভিমুখে রওয়ানা দিয়েছে। ঝড়ের তান্ডবে ১২ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পিরোজপুর জেলা দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কর্মকর্তা মোজাহার হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের গিলাবাদ গ্রামের মজিদ মোল্লার ছেলে শাহজাহান মোল্লা (৫৫) ও আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ধুপতি গ্রামে মুজাহার বেপারীর স্ত্রী গোলেনুর বেগম (৭০) এবং ইন্দুরকানী উপজেলার উমিদপুর এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে শাহ আলম (৫০) নামে ৩ জন নিহত হয়েছেন। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় রাশেদ নামে ৬ বছরের শিশু ও কলাপাড়া উপজেলায় সিপিপি দলনেতা শাহ আলম নিহত হয়েছেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১ জন গৃহবধু, যশোরের চৌগাছা উপজেলায় মা ও শিশুকন্যা সহ ২ জন, শার্শা উপজেলায় ১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানি গ্রামে ১ জন মহিলা নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। বর্তমানে দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এর প্রভাবে দেশের অনেক এলাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ২০৩ মিলিমিটার ঈশ্বরদীতে ১৬০ মিলিমিটার ও ঢাকায় ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক স্থানে ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি বর্ষণ (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে সেই সাথে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।