শাহেদ মিজান, সিবিএন:

কক্সবাজারের যে ক’জন মেধাবী সাংবাদিকের বিচরণ রয়েছে তার একটি উজ্জ্বল নাম আহমদ গিয়াস। তবে তাঁর রয়েছে আরো একটি বিশেষত্ব! নির্লোভ! তাই চাকচিক্যের শহরের থাকার যোগ্যতা তাঁর হয়নি। তাঁর ঠাঁই হয়েছে শহরেরও দূরে পাহাড়ের খাদের গ্রামের এক প্রান্তে। সেখানে তিনি আধুনিতকার এই সময়েও বাঁশের বেড়া এবং ছনের ছাউনিতে আচ্ছাদিত একটি কুড়েঘরে পরিবার নিয়ে অতিসাধারণ জীবন যাপন করছেন। দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে এভাবে কাটাচ্ছেন তার গরীবি জীবন। তাই তাঁর বেশ-ভুষা ও চাল-চলনেও নেই আভিজাত্য। তিনি হয়ে আছেন এক অতি গরীবি মানুষের প্রতিচ্ছবি। নিজের সেই কুড়েঘরের সামনে লুঙ্গি-পাঞ্জাবি এবং সেন্ডেল পরা এক ক্ষীণকার নির্লোভ নিরহংকার সাংবাদিক আহমদ গিয়াস দাঁড়ি আছেন। তবে মুখে এক চিলতে হাসি ঝুলে আছে। হঠাৎ এমন প্রতিচ্ছবির একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুক জুড়ে। সাথে তাঁর অতি সাধারণ জীবন যাপনের চিত্র নিয়ে কিছু কথা। ১৬ মে সকাল থেকে এই ছবি ও লেখাটি ফেসবুকে প্রকাশ হলে তা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ভাইরাল হওয়া প্রতিজনের পোস্টে এই নিলোর্ভ ও নিভৃতচারী সাংবাদিককে নিয়ে হাজার হাজার মানুষের শ্রদ্ধাজাগানো কমেন্ট।

সাংবাদিক আহমদ গিয়াসকে নিয়ে ভাইরাল হওয়া এই পোস্ট নজরে এসেছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের। বিষয়টি নজরে এলে তা নিয়ে বেশ কৌতুহল হয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাই মহৎমনা জেলা প্রশাসক সাংবাদিক আহমদ গিয়াসকে একটি টেকসই বাড়ি উপহারসহ আরো সহযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য অধিনস্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশও দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আশরাফুল আবসার এই এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানিয়েছেন, সাংবাদিক আহমদ গিয়াস নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া লেখাটি পড়ে আবেগাপ্লুত হয়েছেন জেলা প্রশাসক। তাই আহমদ গিয়াসকে সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, ‘একজন শীর্ষ সারির সাংবাদিক হয়েও সাংবাদিক আহমদ গিয়াস যে জীবন যাপন করছেন তা শিক্ষণীয়। নানাভাবে সুযোগ থাকা সত্তে¡ও শুধু নির্লোভ মানুষ বলেই এমনটি সম্ভব হয়েছে। একজন সুনাগরিক হিসেবে তাকে সরকারি ঘরসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা দেয়া হবে।’