শাহেদ মিজান, সিবিএন:

আজ সোমবার (১১ মে) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবের দেয়া তথ্যে করোনা সনাক্ত ১১ জনের একজন কুতুবদিয়ার বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি কুতুবদিয়ার বাসিন্দা হলেও সেখানে থাকেন না। তিনি স্থায়ীভাবে কক্সবাজার শহরের কুুতুবদিয়া পাড়ায় বসবাস করেন। তবে নমুনায় নিজের ঠিকানা দিয়েছেন কুতুবদিয়া। সে কারণেই তাকে ল্যাবের তথ্যে কুতুবদিয়া লেখা হয়েছে। কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ফেরদৌস এই তথ্য জানান।

এদিকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাব থেকে ঘোষণার পর কুতুবদিয়ার একজন উল্লেখ থাকায় তাৎক্ষণিক বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়। কারণ এখন পর্যন্ত কুতুবদিয়া করোনা মুক্ত রয়েছে। প্রথম করোনা সনাক্তের ঘোষণা নিয়ে কুতুবদিয়ার প্রশাসন থেকে শুরু করে সর্বত্র আলোচনা তৈরি হয়।

ওসি দিদারুল ফেরদৌস জানান, ল্যাবের দেয়া তথ্য পেয়ে লকডাউন এবং আইসোলেশন সংক্রান্ত ব্যাপারে রোগীর বাড়ির ঠিকানা জানতে গিয়ে জানা যায় ভিন্ন তথ্য। ওই রোগীর বাড়ি কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মধ্যম কৈয়ারবিল। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি থাকেন কক্সবাজার। কক্সবাজার সদরেই তিনি নমুনা দিয়েছেন। তবে ঠিকানা দিয়েছেন কুতুবদিয়ার। সে কারণে ল্যাব থেকে দেয়া তথ্যে তাকে কুতুবদিয়া দেখানো হয়।

ওসি জানান, কুতুবদিয়ার সর্বশেষ ১১ মে জমা দেয়া পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষার ফল এসেছে। সবাই নেগেটিভ। এছাড়াও মোট ১৮৮ টি পরীক্ষা করা হয়েছে। সব নেগেটিভ এসেছে।

কুতুবদিয়া থানা পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, বাইরে থাকা দ্বীপের মানুষ নানাভাবে ঢুকছে। লকডাউন শিথিল হলে স্বাভাবিকভাবে তাদের ঢুকানো হচ্ছে। তবে কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সবার। ১০ মে পর্যন্ত কুতুবদিয়া থানা পুলিশ সর্বমোট ৪৪৩ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ১১ জন। তাদের মধ্যে ১৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং সবার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ করে ১৪০ জন বাড়ি চলে গেছেন। বর্তমানে ৩০৩ জন বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন।