মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

সোনালী ব্যাংক চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা শাখা লকডাউন (Lockdown) করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার ১১ মে সকালে ব্যাংকটি লকডাউন করা হয়। বিষয়টি সোনালী ব্যাংক কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহা ব্যবস্থাপক ওসমান গনি সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন।

কক্সবাজার সদর উপজেলায় রোববার ১০ মে যে ৬জন করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে তার একজন ছিলেন-সোনালী ব্যাংক ডুলাহাজারা শাখার ব্যবস্থাপক। উক্ত কর্মকর্তা রোববার ১০ মে ব্যাংকে যথারীতি দায়িত্ব পালন করছেন। এজন্য অধিকতর নিরাপত্তার স্বার্থে সোনালী ব্যাংক ডুলাহাজারা শাখা সোমবার সকালে লকডাউন করে দেওয়া হয় বলে জানান এজিএম ওসমান গনি।

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সোনালী ব্যাংক ডুলাহাজারা শাখা লকডাউনের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সোনালী ব্যাংক ডুলাহাজারা শাখার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ সহ ২২ জনের স্যাম্পল সংগ্রহ করে চকরিয়া উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য টিমের মাধ্যমে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। স্যাম্পল কালেকশনের পর তাদের সকলকে হোম কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

সিনিয়র অফিসার পদমর্যাদার উক্ত ব্যাংক ম্যানেজার কক্সবাজার শহরের তারাবনিয়ার ছরার মরহুম রুহুল আমীনের ভাড়াবাসায় থাকেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি রামু উপজেলার চেইন্দা গ্রামে।

কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলী এহেসান জানিয়েছেন, সদরের ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, উপজেলা স্বাস্থ্য টিম, এলাকার জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ সহ করোনা আক্রান্ত উক্ত ব্যাংক ম্যানেজারের তারবনিয়ার ছরাস্থ ভাড়াবাসায় ১০মে রাতে গিয়ে তার বাসা লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

এ করোনা রোগীর শরীরে খুব একটা করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নাথাকায় তাকে নিজ বাসায় সেল্ফ আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে সদর উপজেলা করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. আলী এহেসান জানিয়েছেন। রোববার সনাক্ত হওয়া ৬ জন করোনা রোগী সহ কক্সবাজার সদর উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা মোট ২২ জন।
(বাধ্যবাধকতার কারণে করোনা ভাইরাস জীবাণু সনাক্ত হওয়া রোগীর নাম প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।)