প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

কক্সবাজারের পেকুয়ায় স্বামীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে প্রথম স্ত্রী, পিতার অধিকার পেতে ২য় স্ত্রীর সন্তান ও মৃত বোনের সম্পত্তি বুঝিয়ে না দেয়ায় তার স্বামী সন্তানদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সদর ইউপির শেখের কিল্লা ঘোনা এলাকার মৃত ফরিদুল হক চৌধুরীর সন্তান সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে এ সংবাদ করে ভুক্তভোগীরা। শুক্রবার (৮মে) দুপুর ৩টার দিকে শেখের কিল্লা ঘোনাস্থ ফরিদুল হক চৌধুরীর অপর সন্তান হেনাউল ইসলাম চৌধুরী বাবুলের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলন কথা বলেন, সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর ১ম স্ত্রী ছাবেকুন নাহার প্রকাশ পাখি (৫০), লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মৃত বোন নিলুফা ইয়াসমিনের স্বামী আবুল হাসনাত ও ২য় স্ত্রীর সন্তান সাকিবুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে মৌখিকভাবে ১ম স্ত্রী ছাবেকুন নাহার বলেন, বিগত বেশ কয়েক বছর আগে সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে আমার বিয়ে হয়। আমার আসিফুল ইসলাম চৌধুরী জনি ও ইসরাত জাহান জয়া নামে দুই সন্তান রয়েছে। সন্তানেরা এখন বড় হয়েছে চাকরিও করতেছে। কিন্তু স্বামী সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর নির্যাতন কিছুতেই কমছেনা। আমার অনুমতিবিহীন ২য় স্ত্রীকে বিয়ে করার পর বাড়ি থেকে বের করে দেন। সাকিবুল ইসলাম নামে তার এক সন্তান রয়েছে। এমনকি আমার অনুমতিবিহীন ৩য় স্ত্রী জোসনা আক্তারকে বিয়ে করে সংসার করলে আমার কোন খবর রাখে নাই। আমার বড় সন্তান জনিকে বিদেশ পাটানো থেকে শুরু করে বাংলাদেশে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তার চাচা হেনাউল ইসলাম। মেয়েকেও বিয়ে দিয়েছেন তিনি। তিনি না হলে আমাকে না খেয়ে থাকতে হতো। আমি এই নির্যাতন আর সহ্য করতে পারছিনা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, হেনাউল ইসলাম চৌধুরীর প্রয়াত বোন নিলুফা ইয়াসমিনের স্বামী আবুল হাসনাত। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী বিগত তিন বছর আগে মারা যায়। তার দুটি সন্তান রয়েছে। তার সম্পত্তিগুলো এখনো বড় সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ও হেনাউল ইসলাম চৌধুরীর দখলে। মেজ ভাই হেনাউল ইসলাম মাঝে মধ্যে জমির লাগিয়ত দিলেও এ পর্যন্ত কোন লাগিয়ত দেননি বড় ভাই সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন সালিষ দিলেও আমার প্রয়াত স্ত্রীর সন্তানদের জমিগুলো এখনো বুঝে পায়নি। আমার মনে হয় আমার সন্তানদের জমিগুলো বড় ভাই সাইফুল ইসলামের দখলে।

২য় স্ত্রীর সন্তান সাকিবুল ইসলাম বলেন, বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যে মাকে তাঁড়িয়ে দেন। নানার বাড়িতে থেকে মা আমাকে খুব কষ্ট করে মানুষ করেছে। পিতা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কখনো আমাদের খবর নেননি। তারপরও আমার কোন রাগ ও অভিমান নাই। আমি পিতার দাবিটা করছি মাত্র। পিতার সম্পত্তি থাকুক আর না থাকুক তাতে কিছুই যায় আসেনা। আমি বর্তমানে চাকরি করতেছি। আমি নিজে চলতে পারবো। সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর সন্তান হিসাবে আমি পরিচয় দিয়ে থাকতে চাই।

এবিষয়ে হেনাউল ইসলাম চৌধুরী বাবুল বলেন, আমার বড় এর সাথে জমি জামা নিয়ে কোন বিরোধ নাই। ওনার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও ভরণপোষণ না দেয়া, ২য় স্ত্রীর সন্তানকে গ্রহণ না করায় আমি প্রতিবাদ করেছি মাত্র। তিনি সব সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়ে বোনদের সম্পত্তি দখল করে রেখেছে। এটার প্রতিবাদ করায় তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন। বিভিন্ন মানুষকে বলাবলি করছে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে। অথচ ওনার বড় ছেলে জনিকে আমি নিজের টাকায় বিদেশ পাটিয়েছি। বাংলাদেশে আসার পর ভাল একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এটাই আমার অপরাধ। আমি মাননীয় এমপি জাফর আলম মহোদয়, এসপি মহোদয়, সার্কেল মহোদয়, পেকুয়া থানার ওসিসহ স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলছি ঘটনাটি তদন্তপূর্বক সঠিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হউক।