মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হওয়ার পর দীর্ঘ এক মাস ২৭ দিন অতিবাহিত হলেও উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ টি রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে থাকা কোন রোহিঙ্গার শরীরে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাস জীবাণু সনাক্ত হয়নি।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৩ মে পর্যন্ত ৪৬ জন রোহিঙ্গা শরনার্থীর শরীরের স্যাম্পল টেস্ট করা হয়েছে। টেস্টে সবার রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এসেছে।

কক্সবাজার আরআরআরসি অফিসের প্রধান স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু তোহা এম আর ভূঁইয়া সিবিএন-কে রোববার ৩ মে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, স্যাম্পল টেস্ট করা ৪৬ জন রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মধ্যে ৯ জন মালয়েশিয়া যেতে না পেরে ট্রলারে ভেসে আসা রোহিঙ্গাও রয়েছে।

ডা. আবু তোহা এম আর ভূঁইয়া আরো বলেন, ক্যাম্পের অভ্যন্তরে ১১ টি পয়েন্টে ১২০০ শয্যার করোনা আইশোলেশন হাসপাতাল গড়ে তোলা হচ্ছে। তারমধ্যে, ৮০০ শয্যার নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ৪০০ শয্যার আইসোলেশন হাসপাতালের নির্মাণ কাজ স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকলে আাগামী ৩১ মে’র মধ্যে শতভাগ সম্পন্ন হবে বলে ডা. আবু তোহা এম আর ভূঁইয়া আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

যদি করোনা সংকট শেষ হয়, করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল গুলোকে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য সাধারণ হাসপাতালে পরিনত করা হবে বলে তিনি জানান। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বাংলাদেশ সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা সমুহ রোহিঙ্গা শরনার্থীদের যথাযথভাবে পালনে নিয়মিত কাজ করা হচ্ছে বলে ডা. আবু তোহা এম আর ভূঁইয়া জানিয়েছেন।