কামাল হোসেন, রামু :
কক্সবাজার জেলায় প্রথম করোনায় মৃত্যু বরণকারী রামুর কাউয়ারখোপ পূর্ব পাড়ার সাবেক মেম্বার মো. আব্দুল্লাহ’র স্ত্রী ছেনুআারা বেগমের বসতবাড়ি সহ আশপাশের আরো ৮ টি বাড়ি লকডাউন করেছেন রামুর উপজেলা প্রশাসন।ছেনুআরা বেগমের সংস্পর্শে থাকা এমন ৭ জনের নমুনাও সংগ্রহ করেছে রামুর স্বাস্থ্য বিভাগ। তার মধ্যে ছেনুআরা বেগমকে বহনকারী অটোরিক্সার( সিএনজি) ড্রাইভারও রয়েছে। বিষয়টি প্রতিবেদকে নিশ্চিত করেছেন কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহামদ এবং রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেনুআরা বেগমের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। পারিবারিক সুত্রমতে ছেনুআরা দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানি রোগে ভোগছিলেন। বুধবার সকালে স্ট্রুক করলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।কর্তব্যরত ডাক্তার তার উপসর্গ দেখে নমুনা পরিক্ষা করান।রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। সনাক্তের ৬ ঘন্টার মাথায় তিনি মারা জান। এটিই কক্সবাজার জেলায় প্রথম করোনায় মৃত্যু বরণকারী। রামু উপজেলা প্রশাসনের সর্বিক তত্তাবধানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গত দিবাগত রাত ১ টায় তার দাফনকার্য্য সম্পন্ন হয়। এইদিকে ছেনুআরার করোনা সনাক্তের খবর পাওয়ার সাথে সাথে রামু উপজেলা প্রশাসন তার বাড়িসহ আশপাশের ৮ টি বাড়ি লকডাউন করেছেন। আজ ১ মে (শুক্রবার) রামু উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ রোগীর সংস্পর্শে থাকা ৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠিয়েছেন। তার মধ্যে ছেনুআরা বেগমকে বহনকারী অটোরিক্সার( সিএনজি) ড্রাইভারের নমুনও রয়েছে বলে জানিয়েছেন রামুর স্বাস্থ্য বিভাগ।

এইদিকে ছেনুআরা বেগমের রিপোর্ট নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে চলছে নানান গুঞ্জন। যে মহিলাটি করোনা আভির্বাবের পর থেকে কোন দিন ঘরের বাইরে যাননি সে কিভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়? মানুষ কিছুতেই হিসেব মিলাতে পারছেননা। বিষয়টি নিয়ে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল কতৃপক্ষ ছেনুআরা বেগমের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। রিপোর্ট দেখে তারাই নিশ্চিত করেছেন রোগীর শরীরে করোনা সনাক্ত হয়েছে।তার বিষয়টি ঐ হাসপাতালে সংশ্লিষ্টরা আরো ভালো বলতে পারবেন।