সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
আলোচনা সভা নেই, নেই কবিতা পাঠ, কবি-সাহিত্যিকদের সমাবেশ নেই, নেই শিশু-কিশোরদের কলকাকলী। সব ছুনছান, নিঃস্তব্ধ। এর মধ্যেই অনেকটা নীরবেই পেরিয়ে গেলো কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর উনবিংশতিতম বছরটি। শুরু হলো বিংশতিতম বছর।

কক্সবাজারের সর্বস্তরের কবি-সাহিত্যিক, সাহিত্যামোদি, গবেষক, পণ্ডিতসহ সব মহলকে কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা।

সাহিত্য-সংস্কৃতিতে পিছিয়ে পড়া কক্সবাজারের সাহিত্যের বিকাশে ২০০১ সালে কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর থেকে আমরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে সাহিত্যের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছি। এর মধ্যে সাহিত্য সভা, বিভিন্ন দিবস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কবি-সাহিত্যিকদের সাহিত্য নিয়ে আলোচনা, জন্মদিবস-মৃত্যু দিবস পালন। একাডেমীর মুখপত্র হিসেবে সমুদ্র সংলাপ প্রকাশ। শিশু-কিশোরদের মেধা বিকাশের জন্য শিশু-কিশোরদের স্বরচিত কবিতা, ছড়া, গল্প, প্রবন্ধ লিখন প্রতিযোগিতা ও এসব মূল্যায়ন করে তা প্রকাশ করার জন্য কিশোর সংলাপ নামের পত্রিকা প্রকাশ। একাডেমীর বিনোদন কর্মকাণ্ড মুদ্রিত আকারে সংরক্ষণের জন্য প্রমোদ সংলাপ প্রকাশ। একই সাথে গ্রন্থ প্রকাশনাকে আমরা দিয়েছে অগ্রাধিকার। একাডেমী প্রতিষ্ঠার পর থেকে এযাবৎ আমরা ৮৩টি গ্রন্থ প্রকাশ করেছি। এর মধ্যে কাব্য গ্রন্থের সংখ্যা বেশি হলেও গবেষণা গ্রন্থ, ছড়াগ্রন্থ, জীবনী, ইতিহাস, প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্মদিন পালন ও এ উপলক্ষে সমুদ্র সংলাপের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ। এসব কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে কক্সবাজার থেকে সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তন। কক্সবাজারের বাসিন্দা যারা বিভিন্ন স্থান থেকে সাহিত্য চর্চা করছেন এমন বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিকদের বাছাই করে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। কক্সবাজারের নবীন-প্রবীণ কবি-সাহিত্যিকদের প্রকাশিত গ্রন্থের উপর আলোচনা আমাদের কর্মকাণ্ডের অন্যতম। আমরা ইতোমধ্যে ৪৭১ তম পাক্ষিক সাহিত্য সভার আয়োজন করেছি। একাডেমীর প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি পক্ষে আমরা বিরতিহীন ভাবে সাহিত্য সভা করে এসেছি। কোনো কোনো সময় প্রতি সপ্তাহেও আমরা সাহিত্য সভায় মিলিত হয়েছি, করেছি প্রাণবন্ত আলোচনা।

বৈশি^ক দুর্যোগ করোনাভাইরাসের কারণে বিগত মার্চ মাসের শুরু থেকে আমরা সাহিত্য সভা বন্ধ রেখেছি। আল্লাহ তা’আলা মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য যুগে যুগে, শতাব্দীতে শতাব্দীতে এই ধরনের দুর্যোগ পাঠান। যারা আল্লাহ থেকে বিমুখ হয়েছে এরকম অনেক জাতিকে আল্লাহ তা’আলা পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন। তাদের উপর নেমে এসেছিলো আসমানী গজব, জমিনের গজব। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের উপর, আমাদের কর্মকাণ্ডের উপর নারাজ হয়েছেন তাই আমাদের উপর এই আসমানী গজব। এখন বেশি বেশি করে তওবা করার সময়। রাব্বুল আলামীন আমরা তোমার পাপী বান্দা আমাদের ক্ষমা করো। আমাদেরকে তোমার রহমতের চাদরে ঢেকে দাও। আমিন।

আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছায় একদিন এই বৈশি^ক দুর্যোগ থেমে যাবে। ফিরে আসবে আমাদের মাঝে নতুন সূর্য। পরবির্তিত নতুন পৃথিবীতে আবার আমরা চেষ্টা করবো আমাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাবার। নতুন কিছু সৃষ্ঠির প্রত্যয় নিয়ে সবাইকে আবারও কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।

আপনারা আমাদের সাথে ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।