গত ২২ এপ্রিল টেকনাফ টুডে এবং প্রবাল নিউজ ডটনেট অনলাইনে প্রকাশিত “হ্নীলায় সীমানা বিরোধের জেরধরে হামলায় আহত-৭” শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা তিলকে তাল বানিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের নিষ্ফল চেষ্টা মাত্র।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে হ্নীলা দক্ষিণ-পশ্চিম ফুলের ডেইল এলাকার আমার জেঠা মৃত সোলতানের পুত্র ছৈয়দ হোছাইন মুজাহিদ প্রকাশ শয়তান ও আবু তালেব প্রকাশ আশিক্কা, আশিক্কার পুত্র সাইফুল এর সাথে আমার পৈত্রিক ও অামার জেঠা অাবাদুল হাুকিমের বসত-ভিটা নিয়ে বিরোধপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হলে স্থানীয় একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে সালিশ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন গ্রাম-আদালতের আইন অমান্য করায় তাদের কিরুদ্ধে উচ্চ অাদালতের অাশ্রয় নেওয়ার লিখিত নিওর্দশ দেওয়া হয় যার ফলে সৃষ্ট সংকট সমাধান তরা সম্ভব হয়নি।
এরই সুত্রধরে গত ২২এপ্রিল সকালে বসত-ভিটার বিরোধ নিয়ে আবারো উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে দুপুরে চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী এসে এই সমাস্যা সমাধান করার আশ্বাস দিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়ে চলে যায়।
চেয়ারম্যান চলে যাওয়ার পর বিরোধীয় জমির মালিকানা বিহীন মৃত মোঃ হোছনের পুত্র ইসমাঈল, আইয়ুব, রবিউল মোবাশের রুবেল, মোশারফ, তোহারুল ইসলাম, উলুচামরী কোনার পাড়ার ছৈয়দ নুরের পুত্র মোঃ নুর, পানখালীর মোহাম্মদ আলীর পুত্র বাবুলসহ একটি গ্রপ এসে ছৈয়দ হোসাইন প্রকাশ শয়তান গ্যাং কে প্ররোচনা দিয়ে আমার পুরুষ শূন্য বাড়িতে ভাংচুর করা সহ মহিলাদের এবং জেঠা আব্দুল হাকিমকে মারধর করে। অামি খবর পেয়ে এসে বাঁধা দিলে উপরোক্তদের মরণাস্ত্রের অাঘাতে আমি রক্তাক্ত করার পাশাপাশি অামার মা ফরিদা ইয়াছমিন ও আমার চাচা অাব্দুল হাকিম ও অামার বাড়িতে বেড়াইতে অাসা অামার বোন কে গুরতর ভাবে অাহত করে । তখন উপস্থিত স্থানীয় লোকজন অামি এবং অামার পরিবারের লোকজনকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করেল অামার বোনের স্বামী এসে অামাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এই বিষয়ে আমার বোন বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় উপরোক্তদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। প্রতিপক্ষ এই ঘটনাকে পুঁজি করে নিজের নাক কেটে আমাদের ফাঁসানোর জন্য ইয়াবা কারবারী, জবর-দখলকারীসহ বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে বেড়াচ্ছে।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত ব্যক্তিরা ইতিপৃর্বে অামাদের সাথে ষড়যন্ত্র করে অামার শূন্য বাড়িতে মহিলাদের উপর হামলা করে বসত বিটে থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালালে ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানায় একটি নারী নির্যাতনের অভিযোগ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গক্রমে বলা দরকার যে, ছৈয়দ হোছাইন প্রকাশ শয়তান একজন জামায়াত নেতা, নারী লোভী। সে বিভিন্ন সময় ভিক্ষুকসহ অসহায় নারীদের অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেওয়ার ব্যাপারটি বেশ কয়েকবার এলাকাবাসীর নজরে অাসে। তার একটি সুসংগঠিত সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। এই বাহিনীর রুবেল, আইয়ুব, সাইফুল, মোশারফ ইয়াবা সেবনে সম্পৃক্ত ও প্রত্যেকেই প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষ্যভাবে ইয়াবা কারবারে সাথে সম্পৃক্ত। ইয়াবা কারবার ও তাদের দুঃচরিত্রের কারণে সন্ধ্যার পর এলাকার প্রাপ্ত বয়স্ক নারীরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারেনা। তারা সময়-সুযোগে তারা বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। যা এলাকাবাসীর নিকট স্বীকৃত। উক্ত দলের রুবেল সরাসরি ইয়াবা কারবারের সাথে সম্পৃক্ত, রুবেল প্রশাসনের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার অাজিজুল হক মিস্ত্রি পূত্র পুথিয়া মিস্ত্রি এর প্রধান সহকরী ও নিহতের যাবতীয় কাজকর্ম ও হিসাব নিকাশ রুবেল করে দিত। অারো উল্লেখ্য যে বর্তবানেও রুবেলর ইছমাইল নামে একভাই কক্সবাজার ও বাদশা নামে অন্য অারেক ভাই চট্টগ্রাম থাকে মুলত তাদের সাহায্যে রুবেল ইয়াবার চালান দেশের ভিবিন্ন এলাকায় পৌছিয়ে দেয়। রুবেল ও তার ভাইদের বৈধ কোন ব্যবসা বা চাকরী না থাকা সত্বেও তারা কিভাবে জায়গা জমি, বাড়ি ও ধনসম্পদের মালিক তা এলাকাবাসীর প্রশ্ন। পাশাপাশি ছৈয়দ হোছাইন প্রকাশ শয়তান, অাবু তালেব প্রকাশ অাশিক্কা ও অাশিক্কার পূত্র সাইফুল পাশের গ্রাম নাতমুরা পাড়ার বাসিন্ধা প্রশাসনের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত কাশেম অালীর পূত্র মো: হানিফ প্রকাশ হানিবা নামক ইয়াবা ব্যবসায়ীর সহযোগী ও অংশীদার ছিল। অাবু তালেব প্রকাশ অাশিক্কা ও অাশিক্কার পূত্র সাইফুল সহ ছৈয়দ হোছাইন প্রকাশ শয়তান প্রশাসনকে ফাকি দিয়ে লবণ ব্যবসার অারালে গোপনে অবৈধ্য ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ছৈয়দ হোছাইন প্রকাশ শয়তান গ্যাং এর এরুপ অপকর্মরে কারনে স্থানীয় লোকজন এই গ্যাং এর প্রধান ছৈয়দ হোছাইন এলাকায় শয়তান নামে চিনে।
গত ২৩ এপ্রিল এই গ্যাং এর প্রধান ছৈয়দ হোছাইন প্রকাশ শয়তান তাদের কৃতমকর্মের কথা ফাস করলে ও অামার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালে অামার স্ত্রী, বোন ও মা`কে নিয়ে অাপত্তিকর ভিডিও বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে বলে হুমকি চিচ্ছে। হুমকির ভয়েচ রেকর্ড সমুহ অামাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। সে প্রায় সময় বলে তার সাথে বড় বড় নেতাদের সাথে যােগাযোগ রয়েছে, অামরা তার সাথে লড়তে গিয়ে পারবনা বলে হুমকি দেয়।
সুতরাং এই ঘটনাটির সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য এলাকার সুশীল সমাজ, জনপ্রতিনিধি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের আন্তরিক সহায়তা কামনা করছি।
প্রতিবাদকারী :
মোহাম্মদ জোবইর
পিতা:- মোঃ বুজরুক
সাং:-দক্ষিণ-পশ্চিম ফুলের ডেইল, হ্নীলা, টেকনাফ।