করোনা রোগী শাহ আলম 

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

শুক্রবার ২৪ এপ্রিল পজেটিভ পাওয়া টেকনাফ ও কক্সবাজার শহরের ২ জন রোগীকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের আইসোলেন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান সিবিএন-কে এ তথ্য জানিয়েছেন। রামু আইসোলেন ইউনিটে আগে থেকেই কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার বাসিন্দা এজাহার আহমদের পুত্র করোনা রোগী আবুল কালাম (৫৫) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আবুল কালামের দেহে গত বুধবার ২২ মার্চ করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়ে।

শুক্রবার ২৪ এপ্রিল স্যাম্পল টেস্ট রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ আসা কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছরার আবু বকর ছিদ্দিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সন্নিকটে আবু ছৈয়দের পুত্র শাহ আলম (৪৩) এর বাড়ি লকডাউন  করে লাল পতাকা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার সদরের ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ উল্লাহ মারুফ এর নেতৃত্বে একটি টিম শুক্রবার ২৪ এপ্রিল বিকেল ৩ টার দিকে সেখানে গিয়ে এ লকডাউন  কাজ সম্পন্ন করে। একই সাথে বাড়ির সকল সদস্যকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। এসময় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলী আহসান, পুলিশ ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য টিম সাথে ছিলেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে করোনা রোগী শাহ আলমকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেসন ইউনিটে নেওয়ার জন্য তার বাড়িতে সরকারি এম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে।

করোনা ভাইরাস জীবাণু সনাক্ত হওয়া শাহ আলম নারায়ণগঞ্জ থেকে গত ২০ এপ্রিল কক্সবাজার এসেছে। গত ২২ এপ্রিল শহরের টেকপাড়ায় করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়া আবুল কালামের সাথে একই গাড়িতে করে নারায়নগঞ্জ থেকে আসে। সে নারায়ণগঞ্জে শ্রমিকের চাকুরী করে। এলাকার লোকজন তাকে বাধ্য করে জেলা সদর হাসপাতালে নিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার দেহের স্যাম্পল টেস্ট করতে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠায়। টেস্টে শুক্রবার শাহ আলমের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে।

শুক্রবার ২৪ এপ্রিল স্যাম্পল টেস্ট রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ আসা অপর রোগী টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিটাপানির ছরার নুরুল আলম (২২) এর বাড়িও লকডাউন  করে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে বাড়ির সকল সদস্যকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল মনছুর এর নেতৃত্বে নেতৃত্বে একটি টিম শুক্রবার ২৪ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে গিয়ে এ লকডাউন  কাজ সম্পন্ন করে। এসময় টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল, পুলিশ ও টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য টিম সাথে ছিলেন।

করোনা রোগী নুরুল আলমও গত এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এসেছে বলে জানিয়েছেন, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল। তিনি আরো বলেন, এটিমের সাথে নিয়ে যাওয়া এম্বুলেন্সে করে করোনা রোগী নুরুল আলমকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেসন ইউনিটে নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।