মাননীয় জেলা প্রসাশন কক্সবাজার
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, কক্সবাজার
কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশন
কক্সবাজার এর বিভিন্ন মার্কেটের জমিদারবৃন্দ, কক্সবাজার এর সাধারণ ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সহযোগী (কর্মচারী) ভাইদের প্রতি সালাম ও নববর্ষের শুভেচ্ছা।

সামনেই পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কক্সবাজার এর প্রতিটি প্রতিষ্ঠান/শপিং মলে কক্সবাজার এর ফ্যাশন প্রিয় মানুষের চাহিদা পূরনে প্রায় দুই মাস যাবৎ পন্য সংগ্রহ করে আসছে। যাহা প্রতিষ্ঠানে এসে পৌঁছেছে ও পৌছানোর পথে। ইতিমধ্যে সৃষ্টিকর্তার ইশারায় COVID-19 করোনা নামক এই বৈশ্বিক মহামারী, জাতীয় দুর্যোগ বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর আকাশে কালো মেঘ হয়ে উদয় হয়। যার কারণে বিগত ২৪ মার্চ হতে বাংলাদেশ সরকার তথা স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পুরো কক্সবাজার এ নিত্যপণ্যের দোকান ব্যতীত বাকী প্রায় দুই হাজার দোকান ও শোরুম এ সাধারণ ছুটি (অঘোষিত লকডাউন) হয়ে যায়। যার প্রেক্ষিতে আমাদের কক্সবাজারের প্রায় দুই হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।

যদিও এরও অনেক আগে থেকেই পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।

সরকার ইতিমধ্যে আমাদের সুরক্ষার প্রয়োজনেই ৩ বার সাধারণ ছুটির সময় বাড়িয়েছে। বর্তমানে ২৬ এপ্রিল যদিওবা খোলার তারিখ ঘোষনা করে, বর্তমানে দু’একদিনের করোনা রোগী বৃদ্ধির সংখ্যা দেখে মনে হয়না ২৬ এপ্রিল খোলা যাবে। আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়েছে আজ প্রায় ২২ দিন। রমজান পর্যন্ত যদি বন্ধ ঘোষনা করা হয় তা হলে ব্যবসা বন্ধ হবে প্রায় তিন (০৩) মাস।

এমতাবস্থায় আমরা সাধারণ ব্যবাসায়ীগণের জীবনে হঠাৎ করে নেমে এসেছে ঘোর অমানিশা, তাছাড়া আমরা সাধারণ ব্যবসায়ীগণ বৎসরে ১১ মাস কোনমতে দিন পার করি, রমজান এক মাসের আশায়। এই মাসকে নিয়ে আমাদের কত প্রস্তুতি, কত আয়োজন ও কত স্বপ্ন। একদিকে ব্যবসা বন্ধ, অন্যদিকে নিজেদের পারিবারিক খরচ, সবচেয়ে দুঃচিন্তার বিষয় দোকান ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতন।

রমজান একমাস যদি আমরা ব্যবসা করতে না পারি, তাহলে কিভাবে তিন (৩) মাসের দোকান ভাড়া পরিশোধ করব, কিভাবে কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করব। এই লকডাউন অবস্থায় বাসায় নিজের অজান্তে ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ, ধার-দেনা ও ব্যাংক লোন পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি।

আমি একজন নবীন ব্যবসায়ী ও মেগামার্ট কক্সবাজার এর পরিচালক হিসাবে কক্সবাজার এর প্রসাশন সহ ব্যবসায়ী সমিতির সম্মানিত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ করব, এই বৈশ্বিক মহামারী, জাতীয় দুর্যোগ অবস্থায় সাধারণ ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হওয়ার পূর্বে আপনি তথা আপনারা সকলেই মিলে প্রয়োজনে উপদেষ্টা পরিষদ, পৃষ্টপোষক পরিষদ, জেলা প্রসাশনসহ অন্তত ২০ জন জমিদার, ২০টি শপিং মলের পরিচালক ও ২০ জন মান্য-গন্য প্রবীণ ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারী সমিতিকে সাথে নিয়ে কক্সবাজার এর প্রায় এক হাজার পর্যটন ব্যবসায়ীসহ মোট প্রায় তিনহাজার ব্যবসায়ী ও প্রায় পাঁচ হাজার কর্মচারীর ভবিষ্যৎ, ব্যবাসয়ীদের নিজ কর্মচারীদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ক এক জরুরি বৈঠক করে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীকে “কর্মচারীর বেতন পরিশোধ বিষয়ক” ও “ দোকান ভাড়া মওকুপ/অর্ধকরণ” বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে সমিতি কর্তৃক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়ার। আমি মনে করি আপনারা পারবেন এই মহান দায়িত্ব পালন করতে।

প্রিয় দোকান কর্মচারী ভাইয়েরা 
আমি কক্সবাজারের সকল ব্যবসায়ী সহযোগী (কর্মচারী) ভাইকে অনুরোধ করব, আপনারা আমাদের জায়গায় দাঁড়িয়ে বিবেচনা করবেন। আমরা ব্যবসায়ীগণ এখন চোরাবালির উপর। তিন মাস ব্যবসা বন্ধ হলে এমতাবস্থায় আমরা আপনাদের জন্য কী করতে পারি। আপনাদেরকে আমরা মনে প্রাণে ভালবাসি। আপনারা আমাদের ব্যবসার একটি বিরাট অংশ। আপনারা আছেন বলেই আজ আমরা নিজ নিজ পরিচয়ে পরিচিত। আমার লিখাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে আপনারা আপনাদের নিরপেক্ষ ও সঠিক সিদ্ধান্ত সমিতি বরাবর জানাবেন।

আমি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, আমাদের কর্মচারী ভাইদেরকে সরকারী প্রনোদনা প্যাকেজ এর আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনে “কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি” পর্যন্ত গিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

প্রতিটি বিষয় গুরত্বসহকারে নেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ।
ধন্যবাদ।

সবশেষে বলতে চাই
ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
আপনার পাশের মানুষগুলো খবর নিন, প্রয়োজনে সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন।
আত্ত্বীয় স্বজনদের খবর নিন, প্রয়োজনে তাদেরও সহযোগিতা করুন।
আপনার প্রতিষ্টানের কর্মচারীদের খবর নিন, তাদেরও পাওনা পরিশোধ করুন।

 

মোঃ জহিরুল ইসলাম
পরিচালক ও নবীন উদ্যোক্তা
মেগামার্ট কক্সবাজার