নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দেশের তিনবারের নির্বাচিত সফল সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্য সারাদেশের চিকিৎসকদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। যা বিশ্বের অন্যকোন দেশের প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন বলে মনে হয়।

এমন অনুভুতি প্রকাশ করেছেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অনুপম বড়ুয়া।

মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) তার ফেসবুক ওয়ালে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এমন অনুভুতি প্রকাশ করেন তিনি।

তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

চিকিৎসক সমাজ,সর্বস্তরের স্বাস্থ্যকর্মী এবং বাংলার আপামর জনগণকে অনুপ্রাণিত করে যে অনিন্দ্য সুন্দর পরিপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন তার জন্য আপনাকে জানাই শ্রদ্ধা আর অকৃত্তিম ভালোবাসা।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি করোনা মহামারীকে যুদ্ধ আখ্যা দিয়েছেন। এই যুুদ্ধ হলো জনযুদ্ধ। জনগনের ব্যাপক অংশগ্রহন ছাড়া এই যুুদ্ধে জয় সম্ভব নয়। জনগনের দায়িত্ব ঘরে থাকা আর স্বাস্থবিধি মেনে চলা।

দরদী প্রধানমন্ত্রী খিধা একটি মহাব্যাধি। খিধা যখন মহামারীতে পরিণত হয় তখন মানুষের বোধবুদ্ধি মুল্যবোধ আর শৃঙ্খলা লোপ পায়। করোনা আর খিধা এই দুই মহামারীর সাথে একসাথে যুদ্ধ করা সম্ভব নয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা আর খিধা এই দুই মহামারী কে রুখে দিতে আপনি তরুন সমাজকে কাজে লাগান। প্রত্যেক মহল্লায়, প্রত্যেক ওয়ার্ডে ২০ থেকে ৩০ বছরের তরুণদের সেচ্ছাসেবী হিসেবে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে দুই মাসের জন্য নিয়োগ দেন। এই তরুন সমাজইতো বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় এবং দেশ স্বাধীন করে। জনপ্রতিনিধি আর তরুনদের দিয়ে করোনা প্রতিরোধ কমিটি হওক। এলাকার দরিদ্র পীড়িত জনগনকে তরুনরা রাতের বেলায় ত্রাণ পৌঁছে দেবে আর দিনের বেলায় বাজারসহ সব ধরনের জনহিতকর কর্মে সহায়তা করবে।

জনপ্রতিনিধিরা তাদের দুবেলা খাবার, নাস্তা আর সুরক্ষার জন্য গ্লাভস,মাক্স,চসমা ও রেইনকোটের ব্যবস্থা করবেন। প্রত্যেক মহল্লায়, প্রত্যেক ওয়ার্ডে করোনা প্রতিরোধ কমিটির অস্থায়ী কার্যালয় হওক। সমস্ত ত্রাণকাজ ও জনহিতকর কর্মকান্ড করোনা প্রতিরোধ কমিটির মাধ্যমে হওক। জনদরদী প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, আনসার বাহিনী একসাথে কাজ করবেন ও সমন্বয় করবেন। ধনী আর অবস্থাপন্ন ব্যক্তিরা যারা ত্রাণ সহায়তা দিতে চান তারা করোনা প্রতিরোধ কমিটির মাধ্যমে ত্রাণ দেবেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ভিআইপি, সিআইপি তাদেরই দেবেন যারা তাদের সামর্থের শতভাগ জনহিতকর কর্মকান্ডে ব্যয় করেছেন তার উপর।

দরদী প্রধানমন্ত্রী গত কয়বছর বাম্পার ফসল ফলেছে। কবিগুরুর ভাষায় ” ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই ছোট সে তরী আমারই সোনার ধানে গিয়াছে ভরি”। আপনি দুই মাস সোনার ফসল উৎপাদনকারী সোনার মানুষদের ঘরে বসে ওয়ান, বিশ্রাম দেন, ঘরে থাকুক, সোনার ফসলের সুখ পাক। আমার দেশের দরিদ্র পীড়িত জনগন যেভাবে ত্রাণ নিচ্ছেন তা দেখে মন বেদনায় ভরে উঠে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহামারী শেষে তরুনরা পড়ালেখা আর নিজ কাজে ফিরে যাবে। আপনার হাত ধরে সোনার বাংলা নির্মাণ ও বাঙ্গালির প্রগতির যে অনন্ত যাত্রা শুরু হয়ছে সেই যাত্রায় এই পরিবর্তিত দেশ প্রেমিক তরুন সমাজকে আপনি সাথে পাবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাঙ্গালি জাতি কখোনো পরাভব মানেনি। আমরা আপনার সাথে আছি। মাঠে আছি।

এদিকে, একজন চিকিৎসকদের এমন অনুভুতি প্রকাশ রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পাশাপাশি তার অনুভুতি প্রকাশ মাঠ পর্যায়ের চিকিৎসকদের কাজে সহযোগীতা করবে।