এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :
চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের হাসি সিকদার পাড়া এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম বদিউল আলমের বসতঘরে ইট-পাথর ও মলমূত্র নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১২এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জমি দখলে নিতে প্রতিপক্ষরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে দাবী করেছেন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে নেছারুল হক।

তিনি জানান, পৈত্রিক ওয়ারিশী জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু একই এলাকার বজল আহমদ ও শাহাব উদ্দিন নেতৃত্বে ৫-৬জন লোক তাদের বসতঘরে গিয়ে জায়গা দাবী করে হুমকি দিয়ে আসে।

এসময় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা ঘর থেকে বের হয়ে তাদের বাধা দিতে গেলে দেশীয় তৈরি অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বসতঘরে ইট-পাথর ও মলমূত্র নিক্ষেপ করতে থাকে। তাৎক্ষণিক ভাবে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হলে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশকে পাঠানো হলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলমের ছেলে নেছারুল হক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক ওয়ারিশী সম্পত্তিতে বসতঘর স্থাপন করে ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু এলাকার মৃত আকাম উদ্দিনের ছেলে বজল আহমদ ও তার ছেলে শাহাব উদ্দিন নেতৃত্বে ৮-১০জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী লোকজন এনে কোন ধরণের কাগজপত্র ছাড়াই বসতঘরের জায়গায় মালিকানা দাবি করেন। ইতিপূর্বেও তারা জায়গা নিয়ে বিরোধ বাঁধলে ইউনিয়নের গ্রাম পরিষদ আদালতে তাদের অভিযুক্ত করে একটি সালিশী মামলা দায়ের করি। ওই মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা গ্রাম আদালতে যথাপোযুক্ত দালিলিক প্রমাণ দেখাতে না পারার কারণে আদালত মুক্তিযোদ্ধা (আমার) পক্ষে রায়-ডিগ্রী প্রচার করেন। এরই পর থেকে তারা আমাকে ও পরিবারের সদস্যদের ওপর নানা ধরণের অত্যাচার, ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এনিয়েও তাদের তিনজনকে আসামী করে চকরিয়া উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এম আর মামলা নং-৪৩/২০২০ দায়ের করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রবিবার সন্ধ্যার দিকে আমি ঘরে না থাকার সুবাদে প্রতিপক্ষ বজল আহমদ ও তার ছেলে শাহাব উদ্দিন নেতৃত্বে ৮-১০জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী লোকজন এনে পরিবারের বসতঘরের জায়গা জবর-দখল করার চেষ্টা চালায়। এসময় বাঁধা দেয়া হলে তারা প্রকাশ্যে দিবালোকে ইট-পাথর ও মলমূত্র নিক্ষেপ করেন। বর্তমানে তাদের এহেন অত্যাচার নির্যাতনে আমার পুরো পরিবার অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। তিনি এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানটুকু বাঁচাতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান জানান, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর ইট-পাথর ও মলমূত্র নিক্ষেপ করার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। কেউ অবৈধভাবে জায়গা দখল করতে এ ধরণের কোন ঘটনা করলে তাকে ছাড় দেয়া হবেনা। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।