সিবিএন ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে এটিকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সময়মতো ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে আল্লাহর রহমতে এখনও আমাদের এখানে ব্যাপক সংক্রমণ ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে রোববার (৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় প্রেস কনফারেন্সে এ কথা বলেন। ব্যতিক্রমধর্মী এই প্রেস কনফারেন্সে প্রশ্ন করার কোনো সুযোগ ছিল না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীসহ সংবাদ সম্মেলনে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ যাবৎ ২০২টি দেশ ও অঞ্চলে এর সংক্রমণ দেখা দিয়ছে। বিশ্বে এখন প্রতিদিন ৭০ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে এবং চার হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত ১১ লাখ ৩০ হাজার ৮১৪ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং ৬০ হাজার ১৪৯ জন মারা গেছে। ২ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ সুস্থ হয়েছেন।

তিনি বলেন, গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ার পরপরই আমরা এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিই। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও আইইডিসিআর যৌথভাবে কাজ শুরু করে। আইইডিসিআরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয় এবং রোগটি মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে গতকাল পর্যন্ত ৭০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ও ৮ জন মারা গেছেন। ৩০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। যারা মৃত্যূবরণ করেছেন, তাদের সবার বয়স ৭০-এর ওপরে এবং পূর্ব থেকেই তারা বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। যদিও একটি মৃত্যূও আমাদের কাম্য নয়।

বিশ্বব্যাপী করোনার সংক্রমণ বিস্তার রোধে বিভিন্ন দেশে লকডাউন অথবা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর প্রায় ১০০টির বেশি দেশে সীমান্ত বন্ধ করার পাশাপাশি প্রায় সকল দেশে আন্তর্জাতিক বিমান অবতরণ স্থগিত করা হয়েছে। বাংলাদেশেও গত ২৬ মার্চ থেকে ১৭ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শিল্প-কারখানায় আংশিক ছুটি, পর্যটন কেন্দ্র, বিপণিবিতান এবং সড়ক, নৌ, রেলসহ সকল গণপরিবহণ বন্ধ করা হয়েছে এবং জনসাধারণকে ঘরে থাকার ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।