অলি উল্লাহ রনি ,চকরিয়া ॥

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ॥ চকরিয়ায় উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের গুরুইন্নাকাটা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সালামের পুত্র বাহাদুর করিমকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই এলাকার বাক-প্রতিবন্ধী এক যুবতী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০ মার্চ। পতিবন্ধী ওই নারীর বাড়ীর উঠানের একটি গোয়াল ঘরে এ ঘটনা ঘটে। মামলার বাদী শাহারবিলের গুরুইন্নাকাটার বাসিন্দা ফরিদুল আলমের পুত্র ও ধর্ষিতার ছোট ভাই হেফাজ উদ্দিন তার অভিযোগে জানান, গত ৩০ মার্চ দুপুর বেলায় গরুর গোয়াল ঘরে কাজ করা কালীন সময়ে বাড়ীর লোকজনের সাময়িক অনুপস্থি টের পেয়ে, এলাকার চিহিৃত ওই যুবক বাহাদুল করিম মুখে ওড়না পেঁচিয়ে জোর পুর্বক তার বড় বোনকে ধর্ষণ করে। দীর্ঘ সময় খোজাখুজির পর অজ্ঞান অবস্থায় তাকে বাড়ীর লোকজন উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। সুত্র জানায়, প্রতিবন্ধী ওই নারীকে চকরিয়া থেকে পরবর্তীতে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এদিনই চকরিয়া থানায় ধর্ষকের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় এজহার দায়ের করেন বাদী। চকরিয়া থানার এসআই সুজন প্রতিবেদককে জানান, পুরু একদিনের সার্বিক তদন্ত পরবর্তী নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে ২ এপ্রিল ২৩/১১৬ রেকর্ডীয় মামলায় মুল আসামী বাহাদুর করিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আদালতের মাধ্যমে আসামীকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে প্রেরণও করা হয়েছে ইতিমধ্যে। এলাকাবাসী বলেন, বাহাদুর করিম শাহারবিলের গুরুইন্নাকাটা গ্রামের একজন চিহিৃত বখাটে ও চোর। প্রতিবন্ধী এ নারীকে ধর্ষণে স্থানীয় শাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল থানা এবং আদালতে বাহাদুর করিমের বিরুদ্ধে লিখিত একটি সনদ প্রদান করেন। সনদে বলা হয় সে একজন চিহিৃত চোর ও লম্পট প্রকৃতির যুবক। দেশের সংকটময় মুহুর্তে গ্রামের বাক-বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করায় বর্তমানে ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। এদিকে পুলিশ ভিকটিম রেহেনা আকতার (২৩) এর মেডিকেল চেকাপের পর আদালতে তার জবানবন্দী দেয়ার জন্য বর্তমানে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওসিসিতে রাখা হয়েছে তাকে। অন্যদিকে এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র থানার একজন এএসআই‘র মদদে প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এরই মধ্যে তোড়জোর শুরু করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন মামলার বাদী পরিবারের লোকজন। অথচ, ভিকটিমের একজন আপন মামাও বর্তমানে পুলিশের একজন সাব ইনসপেক্টার পদে কর্মরত রয়েছেন। তবে চকরিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, দেশের এ কঠিন সময়ে এ ধরনের ঘটনা ন্যাক্কারজনকই বটে। তিনি জানান, মামলায় ভিকটিমের পরিবারকে সার্বিকভাবে আইনী সহায়তা দেয়া হচ্ছে।