নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা সংকটে কর্মহীন অসহায় পরিবার খুঁজতে গিয়ে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমবোমাংখিল ও পূর্ববোমাংখিলের শর্মাপাড়ায় দুটি ঝুপড়ি ঘর দেখতে পান স্থানীয় গণমাধ্যম ও সমাজকর্মী হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী।

বাড়ি দুটি হলেন যথাক্রমে মোহাম্মদ ইউনুছ ও অমূল্য শর্মার। আর তা নিয়ে বুধবার ও বৃহস্পতিবার হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে ইউএনওর দৃষ্টিআকর্ষণ করে দুটি পৃথক স্ট্যাটাস দেন।

ওই স্ট্যাটাস দুটি রামুর ইউএনও প্রণয় চাকমার নজরে আসায় তিনি ত্রাণ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই বাড়ি দুটিতে ছুটে যান। ঝুপড়ি ঘরগুলো দেখে তিনি নতুন ঘর তৈরী করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। বিষয়টির দেখাশুনা করার জন্য স্থানীয় গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলামকে নির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি করোনা সংকটে গর্জনিয়ার বিভিন্ন গ্রামে কর্মহীনদের ঘরে ঘরে ত্রাণ বিতরণ করেন।

জানতে চাইলে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
প্রণয় চাকমা বলেন- ‘সাংবাদিক হাফিজের স্ট্যাটাস পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। ঝুপড়ি ঘর ও অসহায় পরিবারের সদস্যদের দেখে তাৎক্ষণিক সরকারি ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। যার জমি আছে ঘর নেই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প থেকে তাদেরকে সরকারিভাবে নতুন ঘর তৈরী করে দেওয়া হবে।

সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন- রামুতে ইউএনও প্রণয় চাকমা যোগদানের পর থেকে সত্যি সত্যি উপজেলার দৃশ্যপট পাল্টাতে আরম্ভ করে। তিনি ভূমিদস্যু, বালুদস্যু ও পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলার এগার ইউনিয়নের সর্বসাধারণের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করছেন। যা রামুর ইতিহাসে বিরল ঘটনা।