আমিনুল ইসলাম , কক্সবাজার:
কক্সবাজার পৌরসভার অন্তর্গত ১২ নাম্বার ওয়ার্ডের আদর্শ গ্রাম এলাকায় পাহাড় কেটে দিনে দিনে ঘর তৈরির কাজ চলছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার ইতিমধ্যে সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু করোনা মহামারীতে সরকারী এই ছুটিকে কাজে লাগিয়ে দিনে রাতে কাজ করে সরকারী জায়গায় পাহাড় কেটে বাসস্থান তৈরি করছে কিছু দুর্বৃত্ত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের কলাতলী এলাকার আদর্শ গ্রামে চলছে পাহাড় কেটে বসতি তৈরির কাজ৷ সরকারি কর্মকর্তাদের নজরে না আসাতে রাত দিন চলছে এই পাহাড় ধ্বংসের কাজ।
জানা যায়, সম্প্রতি মাদক মামলায় জামিনে থাকা মরিচ্যা এলাকার জসিম সরকারি এই জায়গা অল্প দামে কিনেন উক্ত এলাকার রবিউল নামক ভূমি দস্যু থেকে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে, অভিযুক্ত জসিম নানা ভাষায় অশোভন আচারণ করেন এবং সময় হলে দেখে নিবে বলেও হুশিয়ারি দেন সাংবাদিকদের।

পরিবেশ আইন মতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া পাহাড় কাটা যাবে না এবং অবৈধভাবে পাহাড় কাটার শাস্তি হিসেবে দুই বছরের জেল বা ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং দ্বিতীয়বার অপরাধ করার শাস্তি ১০ বছরের জেল বা অনধিক ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। আইনে উভয় ক্ষেত্রে জেল ও জরিমানা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। অপরদিকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকা সমূহে যে কোন নির্মাণ কাজের অনুমতি পত্র সংগ্রহের বিধান রয়েছে। কিন্তু এসব শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ । যার বাস্তবায়ন দেখছে না কেউ।

এসব অভিযোগ নিয়ে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (জেএম) কাজী মাহমুদুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ এইভাবে পাহাড় কাটা চলমান থাকলে পরিবেশ বিপর্যয় ও আগামী বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধ্বসে বড়ধরণের দূর্ঘটনার সম্মুখীন হবেন তারা।