কামাল হোসেন, রামু :
করোনাভাইরাসের আপাতত কার্যকর প্রতিষেধক হলো নূন্যতম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং এর বিস্তার প্রতিরোধ করা। সংক্রামক হওয়ায় করোনাভাইরাস পৃথিবীর দেশে দেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশও এই আক্রান্ত তালিকার বাইরে নয়।

করোনাভাইরাস ছড়ানো কিংবা আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে মানুষকে ঘরে রাখার চেয়ে আপাতত উত্তম পন্থা আর নেই। তাই গোটা বিশ্ব এই ‘ঘরে থাকা’ পদ্ধতি বাধ্যতামূলকভাবে মানার চেষ্টা করছে। আমাদের দেশে এই ফর্মূলা আপাতত ভাল কাজ দিচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে মানুষ এখনো পুরোপুরিভাবে তা গ্রহণ করতে পারছেনা। অনেকে ঘরে থাকার নীতি মেনে চলার সুযোগ থাকলেও খেয়ালীপনার কারণে তা লঙ্গন করছেন।

এসবের গুরুত্ব অনুধাবন করে
আজ ২৯ মার্চ (রবিবার) রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ তার এলাকাবাসীকে সচেতন করতে প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে নিজেই মাইকিং করে করোনা’র সচেতনতা বার্তা পৌছে দেন। তার এই সুন্দর উদ্যোগকে এলাকাবাসী সাধুবাদ জানান। এবং সকলে তার আহবানে ছাড়া দেন। করোনা’র সচেতনতা বার্তা ছাড়াও চেয়ারম্যান মোস্তাক মাইকিং এ আরো বলেন, “ঘরে অবস্থানের কারনে কেউ যদি খাবার দাবার, চিকিৎসা সেবা নিয়ে বিপাকে পড়েন তাহলে আপনারা সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করবেন আমি নিজেই সহায়তা দেবো”
চেয়ারম্যানের এই মহতি উদ্যোগে তাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ
কক্সবাজার জেলা সদস্য ও কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ ও ছাত্রলীগ নেতা ছানা উল্লাহ বাবুল।

চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ প্রতিবেদককে জানান,দেশের এই ক্রান্তিকালে সকল বিত্তশালীরা যেন অসহায় মানুষের পাশে থাকেন। এক সাথে মিলে কাজ করলে করোনা মোকাবিলায় জয় করা সম্ভব। তিনি সবাইকে যার যার অবস্থানে থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।