চকরিয়া সংবাদদাতা:
খুটাখালী জাতীয় উদ্যানের সংরক্ষিত বনভূমির ভেতর দিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ঘটেছে লঙ্কাকাণ্ড। বনকর্মী ও স্থানীয়রাসহ আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।
শুক্রবার সকালের এঘটনায় পক্ষে বিপক্ষে বক্তব্য পাওয়া গেছে।
অভিযোগ ওঠেছে, বিদ্যুৎ সংযোগের নামে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে মোটা অংক হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।
রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা চিহ্নিত চক্রটি বন বিভাগ ও বিদ্যুৎ বিভাগকে ম্যানেজ করার নামে প্রতারিত করেছে সহজ সরল মানুষদের।
সংরক্ষিত বনে বিদ্যুৎ সংযোগের কোন নিয়ম না থাকলেও শুক্রবার সরকারি বন্ধের দিনে লাইন সঞ্চালনকালে অভিযান চালায় বনবিভাগ।
এসময় জব্দ করা বেশকিছু বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, যা বনকর্মীদের হামলা করে ছিনিয়ে নেয় স্থানীয় দুষ্কৃতিকারীরা।
শুক্রবার (২০ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জ আওতাধীন খুটাখালীর মেধা কচ্ছপিয়ার জাতীয় উদ্যান এলাকায় এ অভিযান চলে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ব গর্জনতলী এলাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎয়ের সংযোগ সঞ্চালন করছিল। গোপনীয়ভাবে এ খবর পেয়ে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ডিএফও তৌহিদুল ইসলামের নির্দেশে অভিযান চালানো হয়।
এসময় ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ছৈয়দ আবু জাকারিয়া নেতৃত্বে, ফরেস্টার জসিম উদ্দিন ও একদল বন কর্মীর সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় সরকারি কাজে বাধা প্রদান করতে তেড়ে আসে উশৃঙ্খল কিছু গ্রামবাসী। এসময় বনকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে মহিলাসহ দুষ্কৃতিকারীরা গাড়ি থেকে জব্দ করা বেশকিছু বিদ্যুৎ সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। কিন্তু দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বন বিভাগের লোকজন।
এসিএফ মোঃ সোহেল রানা বলেন, বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল মেধা কচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করায় অভিযান চালানো হয়। এসময় বনকর্মীদের ওপর হামলা চালায় এলাকার দুষ্কৃতিকারীরা। তবে সংঘর্ষ এড়াতে তাৎক্ষনিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বন বিভাগের লোকজন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সরকারী সম্পদ রক্ষার কাজ তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
অভিযানে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ডুলাহাজারা বিট কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াছসহ ওই রেঞ্জের বেশকিছু বনকর্মী সার্বিক সহযোগিতা করেন।