সিবিএন ডেস্কঃ

প্রত্যাশী। একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৩ সালে যার পথচলা। যার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে “ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব” প্রতিষ্ঠা করা। চট্টগ্রাম থেকে সংস্থাটির যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পার হয়ে গ্রামের তৃণমুল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে এর কার্যক্রম।

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করতে ২০১৯ সালের মে মাস থেকে কক্সবাজার জেলার উখিয়া, রামু ও চকরিয়াতে প্রমোশন অফ অ্যাকুয়াকালচার এন্ড নিউট্রিশন সেনসেটিভ ইন্টারভেনশন (পানসি) প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে প্রত্যাশী। এ প্রকল্পে সহযোগিতা করছে USAID & WorldFish সংস্থা।

জানা যায়, ইতিমধ্যে প্রকল্পটির আওতায় তিন উপজেলায় প্রায় ২০০০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে প্রত্যাশি সংস্থাটি। প্রশিক্ষণ গুলোর মধ্যে বসতবাড়ির পুকুরে কার্প ও মলা মাছ চাষ এবং সবজি চাষ অন্যতম। প্রশিক্ষণের পর প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে মাছের পোনা ও শাক সবজির বীচ বিতরণ করে সংস্থাটি।

এছাড়াও ১৯ জন উদ্যোক্তাকে দিয়ে কার্প জাতীয় মাছের মিনি নার্সারী এবং অপর ১৯ জন কে দিয়ে কুচিয়া চাষের মাধ্যমে রামু, চকরিয়া, উখিয়া উপজেলায় জনসাধারণের কাছে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে প্রত্যাশীর পানসি প্রকল্পটি।

কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা ইতিমধ্যে মাছ, কুচিয়া চাষ ও নার্সারীর কাজ শুরু করেছে। সংস্থা থেকে তাদের যাবতীয় সহযোগীতা করা হচ্ছে। তারা নিজেদের কাজ নিজেরা করতে পেরে আনন্দিত ও শীঘ্রই স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।

প্রকল্পটির নিউট্রিশন এন্ড অ্যাকুয়াকালচার কোর্ডিনেটর এস.এম. মুনির জানান, প্রকল্প এলাকার মানুষদের মাছ, কুচিয়া, সবজি চাষ ও নার্সারী করার আগ্রহ কম ছিল। এছাড়াও যারা পূর্বে মাছ ও সবজি চাষাবাদ করেছিল তাদের সঠিক প্রশিক্ষণ না থাকায় ক্ষতির মুখে পড়ছে। তাই দরিদ্র জনসাধারণকে দক্ষ জনগোষ্ঠীতে রূপান্তর করতে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে এই প্রকল্প নিয়ে মাঠে নেমেছি৷ আর স্থানীয় মানুষদের যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি। –মেইলটি পাঠিয়েছে কাব্য সৌরভ।