প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

“সবাই মিলে হাত মেলাই,নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত চাই”- স্লোগানকে সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসুচির মাধ্যমে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা  এবং চকরিয়া উপজেলায় গবাদি প্রাণি পালনকারী ২ টি খামারী কমিউনিটিতে পালিত হয়েছে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২০। দিবসটি উপলক্ষে গত রবিবার উক্ত উপজেলাগুলোতে কমিউনিটি পর্যায়ে শতাধিক গবাদি প্রাণি পালনকারী খামারীদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক আলোচনা সভা এবং বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্টিত হয়।

আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা এ.সি.ডি.আই/ভোকা এর আয়োজনে আয়োজিত কর্মসূচির আলোচনা সভায় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, চেয়ারম্যান এবং প্রাণিসম্পদ সেবা সহকারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে উপস্থিত কমিউনিটি সদস্যদের নিরাপদ হাত ধোঁয়ার ব্যবহারিক প্রয়োগ ও গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলোতে ফিড দ্যা ফিউচার-এলপিন প্রকল্পের আলোকে ”নিরাপদ খাদ্য সংস্থান ও ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য করণীয়” বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন এসিডিআই/ভোকা’র ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর সঞ্জয় চন্দ্র ভট্টাচার্য।

নিরাপদ খাদ্য দিবসের আলোচনায় বক্তারা বলেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে নয়, বরং ইচ্ছে করে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর ঘটনা বেশি হচ্ছে। ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় ব্যবসায়ীরাও খাদ্যে বা ফসলে ভেজাল দিচ্ছেন। গবাদি প্রাণি পালনকারী খামারীরা অনেকসময় বিপদে পড়ে ওষুধের দোকান থেকে দোকানদারের পরামর্শে গবাদি প্রাণিতে অনিরাপদ এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করছে।এন্টিবায়োটিক গবাদি প্রাণির শরীর থেকে বের হয়ে যাবার পূর্বেই এন্টিবায়োটিকমিশ্রিত দুধ ও মাংস মানুষের খাদ্য শৃংখলে চলে আসছে যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুঁকি তৈরী করছে ।

এ প্রসংগে প্রানিসম্পদ সেবা সহকারী জনাব দিদারুল আলম তার বক্তব্যে উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে গবাদি প্রাণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিরাপদ মাংস ও দুধ উৎপাদনে রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শক্রমে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করার বিধান রেখে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে রুল জারি করা হয়েছে।

নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বিপণনে ভোক্তাসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বাস্থ্যবান ও কর্মঠ করে গড়ে তুলতে পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানগুলো সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন অত্র সংগঠনের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর শিউলী চক্রবর্তি, তড়িৎ কুমার রায় এবং দেওয়ান মাহফুজুর রহমান।