ইমরুল কায়েস :

ইয়াবা ব্যবসায়ীদের থুতু নিক্ষেপ করার জন্য সমাজের মানুষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন। তিনি বলেন পুলিশ একার পক্ষে ইয়াবা নির্মূল করা সম্ভব নয়। ইয়াবা প্রতিরোধে সমাজের সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দেখলে তাদের থুতু নিক্ষেপ করুন যাতে তারা সমাজে স্থান না পায়। আজ সোমবার টেকনাফ কলেজ মাঠে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে তিনি এই আহবান জানান।

২য় দফা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে ২০১৯ সালে দেশ সেরা পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেন বলেন, সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের পরে কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি মাদক বিরোধী অভিযানে হয়েছে। এই অভিযানে বিভিন্ন বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে ২৮০ জন নিহত হয়েছে। তারপরও টেকনাফের কিছু লোক ইয়াবা ব্যবসা করার সাহস দেখাচ্ছে। এই ইয়াবা সারা দেশের যুব সমাজ ধ্বংস করছে। দেশের আগামী প্রজন্মকে রক্ষার জন্য ইয়াবা বিরোধী অভিযান আরো কঠোর জোরদার করা হবে।

অনেকেই ভালো মানু্ষের মুখোশ পড়ে ইয়াবা ব্যবসা চালাচ্ছে জানিয়ে এসপি মাসুদ বলেন, চোরের দশ দিন আর গৃহস্তের একদিন। যেই দিন ধরা পড়বেন, সেই দিন আপনার মুখোশ উন্মোচন করে দেয়া হবে।

টেকনাফে আজ ২১ ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করছে ২১ ইয়াবা ব্যবসায়ী । আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) বিকলে টেকনাফ সরকারী কলেজ মাঠে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক কাছে আত্মসমর্পণ করে। এ সময় তারা ২১ হাজার পিস ইয়াবা ও ১০টি আগ্নেআস্ত্র জমা দিয়েছে। ৯টি শর্তে এই ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আত্মসমর্পন করে। গত বছরে টেকনাফে ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পনের পরে এটি ২য় আত্মসমর্পন।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: জাকির হোসেন খান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলাশ সুপার ইকবাল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডঃ সিরাজুল মোস্তফা, কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের কক্সবাজার জেলা সভাপতি সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, সাধারন সম্পাদক সোহেল আহমেদ বাহাদুর, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম, টেকনাফ থানার ওসি প্রদিপ কুমার দাশ সহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগন বক্তব্য রাখেন ।

গতবছরের ১৬ ফেব্রুয়ারী প্রথম দফায় ১০২ জন ইয়াবা গডফাদার ও ব্যবসায়ী টেকনাফ পাইলট হাই স্কুল মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। একই দিন আত্মসমর্পণকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সাড়ে ৩লাখ ইয়াবা ও ৩০টি অস্ত্রসহ দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছিল।