ইমাম খাইর, সিবিএন:
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের পৃথক অভিযানে আটক হলো কলেজ ছাত্রসহ দুইজন। সেখানে একজনের নাম গিয়াস উদ্দিন খোকন (২০)। ২ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত ৮ টার দিকে কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটা এলাকা থেকে ৭৭০০ ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার ব্যবহৃত ১৫০ সিসি ইয়ামাহা মোটর সাইকেলও জব্ধ করেছে অভিযানকারীরা। সে টেকনাফের হ্নীলা পশ্চিম পানখালী গ্রামের সামসুল আলমের ছেলে এবং কক্সবাজার সরকারী কলেজের বাণিজ্য বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার এর সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল জানান, সোর্সের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। হাতেনাতে ইয়াসহ গিয়াস উদ্দিন নামের কলেজ ছাত্রকে আটক করা হলেও রেডিং টিমের উপস্থিত টের পেয়ে তার সাথে থাকা দুই ব্যক্তি পালিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে গিয়াস উদ্দিন তাদের নাম মোঃ রফিক ও কামরুল ইসলাম বলে জানায়।
মোঃ রফিক একই গ্রামের মোঃ জালালের ছেলে কামরুল ইসলামের কক্সবাজারের কলাতলীতে কসমেটিক এর ব্যবসা রয়েছে বলে জানা গেছে। কামরুল ইসলাম হ্নীলা ৬ নং ওয়ার্ডস্থ উলুমাচরী কিয়াংপাড়ার আব্দু শুক্কুরের ছেলে।
এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ আবদুল মালেক তালুকদার বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক গিয়াস উদ্দিন খোকনকে প্রধান এবং মোঃ রফিক ও কামরুল ইসলামকে পলাতক আসামি দেখিয়ে কক্সবাজার মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করে।
অপরদিকে একইদিন রাত ১০টায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার সদর থানাধীন লিংকরোড ফরেস্ট চেক পোস্ট সংলগ্ন এ্যাডভোকেট সালাম এর বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া অসিমের ঘরে অভিযান পরিচালনা করে তার স্ত্রী হুমাইরা খাতুন (২৮) এর ভ্যানিটি ব্যাগ হতে ৬০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। হুমাইরা খাতুন ঝিলংজা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জানার ঘোনার অসিম এর স্ত্রী।
এ ঘটনায় আটককৃত আসামি হুমাইরা খাতুনকে প্রধান ও তার ভাই নুরুল ইসলাম নাহিদকে পলাতক করে কক্সবাজার মডেল থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হুমাইরা জানায় তার স্বামী মোঃ অসিম ইতোপূর্বে ইয়াবাসহ আটক হয়ে বর্তমানে ঢাকার একটি কারাগারে বন্দী অবস্থায় রয়েছে।