চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া এলাকায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল শিক্ষক সাইফুল হকের বসতবাড়ি। তিনি ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের জমিদার পাড়ার মৃত মাষ্টার সিরাজুল হকের ছেলে। আগুনের লেলিহান থেকে বসতবাড়ির ভিতরে অবস্থান করা মহিলা ও শিশুসহ ৭জন প্রাণে রক্ষা পেলেও ১০লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয় বলে জানান শিক্ষক মোঃ সাইফুল হক। বুধবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের জমিদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

বসতবাড়ির মালিক মাষ্টার সাইফুল হক বলেন, ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার সুবিধার্তে আমি স্ত্রী সন্তান নিয়ে পেকুয়ার ভাড়া বাসায় বসবাস করি। কোনাখালী ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাকতাও করি। পৈত্রিক জমি বিরোধের জের ধরে বড় ভাই মোঃ দিদারুল হক ও তার সহযোগি আবদু রহমান ও আরফাতুল ইসলাম বসতবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। বসতবাড়ির সংরক্ষিত গেইট ও বাড়ির ভিতরের দরজায় লক লাগিয়ে আগুন লাগায় তারা। পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগানোর কারণে মাত্র ১০মিনিটে টিনসেট বাড়িটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই সময় আমার বোন রোকেয়া বেগমসহ ৭ সদস্যদের চিৎকারে সালমান নামের এক স্কুল ছাত্র বাড়ির গেইট খুলে দিলে তারা প্রাণে রক্ষা পান। তারা আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন।

তিনি আরো বলেন, গত ২০১৬ সালে অপহরণ করে প্রাণে হত্যাচেষ্টা ও ২০১৭ সালে আরো একবার বসতবাড়ি পুড়ে দেন তিনি। এমনকি মমতাময়ী মা আয়েশা বেগমকে মারধর করে আহত করেন তিনি। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগও রয়েছে।

স্থানীয় হেলাল উদ্দিন, মোঃ হাসান ও জয়নাল বলেন, মাষ্টার সাইফুল হকের বাড়িতে আগুন লাগার কথা মাইকে প্রচার হলে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করি। কিন্তু মাত্র ১০মিনিটের সময়ে পুরো বসতবাড়ি পুড়ে যায়। ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ থাকতেই পারে। তাই বলে এ রকম অমানবিক কাজ কেউ করতে পারেনা। বাড়ি পুড়ে গিয়ে আর্থিক ক্ষতি হলেও বাড়িতে অবস্থানরত মহিলা ও শিশুরা রক্ষা পাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আগুনে ঘর পোড়ার খবর পেয়ে সকালে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।