মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন। নির্বাচন উপলক্ষ্যে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতি ইতিমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে মোট ৬৮৪ জন আইনজীবী ভোটার হয়েছেন। তবে খসড়া এ ভোটার সংখ্যা চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় একটু বাড়তে পারে বলে সিবিএন-কে জেলা আইনজীবী সমিতির দায়িত্বশীল সুত্র জানিয়েছেন। কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতি ভবন ও চকরিয়া উপজেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে পৃথক দু’টি ভোট কেন্দ্রে একই সাথে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা এপর্যন্ত ভোট গ্রহন করা হবে। এর মধ্যে চকরিয়া ও কুতুবদিয়া আদালতে কর্মরত আইনজীবীদের নিয়ে প্রকাশিত পৃথক একটি ভোটার তালিকার ভোট গ্রহন করা হবে চকরিয়া উপজেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে। অপর একটি ভোটার তালিকার ভোট গ্রহন করা হবে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের দু’তলায়। নির্বাচন পরিচালনার জন্য সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা করে সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মুহাম্মদ শাহাজাহানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, এডভোকেট শ্যামল কান্তি চৌধুরী ও এডভোকেট মুহাম্মদ বাকের কে সহকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার, এডভোকেট নুর উল আলম, এডভোকেট আবু ছিদ্দিক, এডভোকেট ফরিদ আহামদ ও এডভোকেট সিরাজ উল্লাহকে কমিশনার করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনের তফশিল অনুযায়ী ঘোষনা করবেন বলে সিবিএন-কে জানিয়েছেন। তফশিলে ২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোট গ্রহনের দিনক্ষণ সুনির্দিষ্ট থাকবে।

এদিকে, নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় জেলা আইনঙ্গনে নির্বাচনী আলোচনা বেশ জমে উঠছে। কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনী রেওয়াজ অনুযায়ী আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, কমিউনিস্ট পার্টি সহ বামপন্থী রাজনৈতিক দল গুলোর সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের একটি প্যানেল এবং বিএনপি, জামায়াত ইসলাম সহ জাতীয়তাবাদী ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা আইনজীবীদের পৃথক আর একটি প্যানেল নির্বাচনে নিয়মিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকে। এবার আওয়ামী ঘরনার প্যানেল থেকে সভাপতি পদে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি এডভোকেট আ.জ.ম মঈন উদ্দিন, এডভোকেট আব্বাস উদ্দিন, সাবেক সভাপতি ও বিশেষ পিপি এডভোকেট নুরুল ইসলাম, এডভোকেট বদিউল আলমের নাম শোনা যাচ্ছে। সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট অধ্যাপক নুর আহমদের সন্তান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহামদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় পার্টির নেতা মোহাম্মদ তারেক, এডভোকেট অধ্যাপক নাছির উদ্দিন, এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে, সভাপতি পদে এডভোকেট আ.জ.ম মঈন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট অধ্যাপক নুর আহমদের সন্তান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহামদের প্রার্থীতা প্রায় চুড়ান্ত বলে এই প্যানেলের নীতিনির্ধারকদের একজন সিবিএন-কে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, জাতীয়তাবাদী ইসলামী মুল্যবোধে বিশ্বাসী প্যানেলে সভাপতি পদে সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ ছৈয়দ আলম, এডভোকেট আবুল কালাম ছিদ্দিকী, এডভোকেট আবুল আলা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট নুরুল মোর্শেদ আমিনের মধ্য থেকে যেকোন একজন সভাপতি প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে এডভোকেট আকতার উদ্দিন হেলালী, এডভোকেট নেজামুল হক, এডভোকেট তৌহিদুল আনোয়ারের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে ১৭ ফেব্রুয়ারি জানা যাবে উভয় প্যানেল থেকে শেষপর্যন্ত কারা প্রার্থী হচ্ছেন।

গঠনতন্ত্রে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির মধ্যে দু’টি পদে সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধনীর মধ্যে পূর্বের সহ সভাপতি দু’টি পদকে বিভাজন করে সিনিয়র সহ সভাপতি ও সহ সভাপতি পদ পদায়ন করে ভোটারদের ঐ দুটি পদে পৃথকভাবে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া পাঠাগার সম্পাদক পদের নাম পাঠাগার, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক করা হয়েছে। যা ২০১৯ সাল থেকে কার্যকর হয়েছে।