মুহাম্মদ উর রহমান মাসুদ:
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশখুল ইউনিয়নের মনু পাড়ার সাবেক মেম্বার মমতাজ আহম্মদ অপহরণ হওয়ার ঘটনায় জনতার হাতে ২ যুবক আটক হয়। আটককৃতরা হল, কক্সবাজার শহরের গাড়ির মাঠ এলাকার ফোরকার আহম্মদ প্রঃ বলি ফোরকান এর পুত্র শাহানেওয়াজ আহম্মদ শিশির (৩০) ও মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোন ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল আমিনের পুত্র আব্দুল করিম (৪৫)।

গত ১৯ জানুয়ারী রাত সাড়ে ৮ টার দিকে একদল অস্ত্রধারী অস্ত্রের মুখে খুরুশখুলের সাবেক মেম্বার ও বর্তমান ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মমতাজকে একটি নোহা গাড়ী যোগে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে নিকট আত্মীয়রা প্রশাসন সহ বিভিন্ন জায়গায় খোজখবর নিয়েও তার কোন সন্ধান মেলেনি। এই ঘটনায় ধৃত যুবকেরা ২০ জানুয়ারী থেকে মেম্বার মমতাজের সন্ধান দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে আবার বিভিন্ন অজুহাতে ২৩ জানুয়ারী সন্ধ্যায় টাকা নিতে এসে শহরের ইডেন গার্ডেন নিচতলায় জনতার হাতে আটক হয় তারা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঐ ২ যুবককে থানায় নিয়ে যায়।

অপহৃত মমতাজ আহম্মদ এর পুত্র মোঃ রুহুল আমিন বলেন, গত ১৯ জানুয়ারী রাত আনুমানিক পৌনে ৯ টার দিকে অপরিচিত ২ জন ব্যক্তি বাহির থেকে তাদের ঘরের দরজা খোলার জন্য বলে। তিনি ঘরের দরজা খুললে তার পিতা মমতাজ আহম্মদকে ডেকে দিতে বললে, ঐ সময় তাদের সামনে মমতাজ আহম্মদ আসে। কিছুই বুঝে উঠার আগেই বাহির থেকে আরো ১০/১২ জন অস্ত্রধারী লোক এসে একটি নোহা গাড়িতে তুলে মমতাজকে নিয়ে যায়। এর পর থেকে তার পরিবার প্রশাসন সহ বিভিন্ন স্থানে খোজখবর নিয়েও কোন সন্ধান পাননি। গত ২০ জানুয়ারী ধৃত করিম ও শিশির তার পিতা মমতাজ আহম্মদ এর সন্ধান জানে বলে তার মামা ফরিদুল আলমকে জানান।

ফরিদুল আলম বলেন, ধৃত যুবকরা মমতাজ আহম্মদ র‍্যাবের হেফাজতে আছে বলে জানান। এবং র‍্যাবের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ১ লক্ষ টাকা দিলে ছেড়ে দিবে বলে জানান। আমি তাদেরকে নগদ ১ লক্ষ টাকা প্রদান করি। পরে মমতাজ মেম্বারের সন্ধান দেওয়ার জন্য পুনরায় টাকা দাবী করলে মধ্যস্ততাকারী হিসাবে এ্যাডভোকেট রাখাল মিত্রের কাছে আড়াই লক্ষ টাকা জমা রাখে মমতাজের পরিবার। ২৩ জানুয়ারী সকালে ঐ ২ যুবক এ্যাডভোকেট রাখাল মিত্রের কাছে থাকা জমা টাকা থেক ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ইতিমধ্যে তারা মমতাজ এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলিয়ে দেওয়ার কথা বলে এবং সাক্ষাত করিয়ে দেওয়ার কথা বলে মমতাজের পরিবারের লোকজনকে শহরের টার্মিনাল সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরিয়ে নিয়ে আসেন। সন্ধ্যার দিকে এ্যাডভোকেট রাখাল মিত্রের কাছ থেকে আবারও ২০ হাজার টাকা নিতে আসলে ঐ ২ যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানান।

কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের এস,আই রুহুল আমিন বলেন, কক্সবাজার শহরের ইডেন গার্ডেনের নিচ তলায় জনতার হাতে করিম ও শিশির নামের ২ যুবক আটক হওয়ার খবর পেয়ে এ,এস,আই আফসার সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদেরকে থানায় নিয়ে যান।

এই বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোঃ শাহাজাহান কবির এর কাছে একাধিক বার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।