এম.আলী হোসেন, চকরিয়াঃ
চকরিয়া খাদ্যগুদামে উৎসবমুখর পরিবেশে দুই উপজেলা চকরিয়া-পেকুয়ার কৃষক থেকে ধান সংগ্রহ করা হয়েছে ।
কক্সবাজার জেলার উত্তরে দুইটি উপজেলা চকরিয়া-পেকুয়ার খাদ্য গোদামটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পূর্ব পাশে চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের নলবিলা নামক স্থানে অবস্থিত। এই খাদ্য গুদাম থেকে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী, ঢেমুশিয়া, বমুবিলছড়ি, হাবাং, খুটাখালী, ও পেকুয়া উপজেলার মগনামা, টৈটং, উজানটিয়া ইউনিয়ন গুলোর দূরত্ব কমপক্ষে বিশ কিলোমিটার, দুই উপজেলায় ২৬ ইউনিয়ন একটি পৌরসভা রয়েছে।
এই খাদ্য গুদাম থেকে সরকারী খাদ্য সরবরাহ করা কর থাকেন । দুই উপজেলাার জন্য একটিমাত্র খাদ্যগুদাম যথেষ্টট নয়, খাদ্য সরবরাহের ইউনিয়নের দূরত্ব হওয়াতে অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া দিতে হয় জনপ্রতিনিধিদের।
চকরিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবদুল হাই বলেন, বর্তমান সরকার ভর্তুকি দিয়ে কৃষক থেকে ধান সংগ্রহ করার প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের নেয়ায় কৃষক থেকে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এই খাদ্য গুদামের চকরিয়া উপজেলার কৃষক থেকে ২৩৩৬, পেকুয়া উপজেলার কৃষক থেকে ৮৭৮, মোট ৩২১৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে।
বর্তমানে দুই উপজেলার কৃষক থেকে ১০৫০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানায় তিনি।
গুণগত মান যাচাই করে কৃষক থেকে ধান সংগ্রহ কালে উপস্থিত ছিলেন উপ – খাদ্য পরিদর্শক রফিকউদ্দিন, সহ উপ-খাদ্য পরিদর্শক সমর কান্তি দাস, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কবির চৌধুরী, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিঠুন চৌধুরী শিমু, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মানিক সহ ধান নিয়ে আসা শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে বর্তমান খোলাবাজারের তারের মূল্য সরকারের গান সংগ্রহ মূল্য প্রায় দ্বিগুণ এর জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা, তবে তাদের এলাকা থেকে খাদ্যগুদাম অধিক দূরত্ব হওয়ায় গাড়ি ভাড়া বেশি যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন। খাদ্য গুদামের দূরত্ব ও খরচ কমাতে পেকুয়া উপজেলায় একটি খাদ্য গুদাম তৈরি করতে সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন কৃষক ও সচেতন মহল।