মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট বাজারে অনিয়মের কারনে ভোগান্তিতে রয়েছে ক্রেতাসাধারণ। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ আওতাধীন বন ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত এ বাজারটি। আগে যারযার ইচ্ছে মতো পরিচালনা করলেও বাজারটি বর্তমানে দেখভাল করছে উপজেলা প্রশাসন।
একটি পরিচালনা কমিটি রয়েছে যেটি মালুমঘাট বাজার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে। চলতি সনে বাজারটি ইজারা নিয়েছে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজেই।
স্থানীয়দের অভিযোগ এতগুলো পরিচালনার দায়িত্বে দল থাকার পরও চরম ভোগান্তিতে রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। পঁচা আবর্জনায় ভরপুর মাছ বাজার, কাঁচাবাজার, মহাসড়ক ও বাজারের মাঝখানের ড্রেনসহ লোকসমাগম এলাকায়। কাঁচা বাজারে মাছ কিনতে গেলে মুখ ফিরিয়ে নিতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
মাছ বাজারে প্রবেশ পথেই লক্ষনীয় ময়লা আবর্জনার স্তুপ। তারই পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নর্দমা থেকে ছুটছে অসহ্য দুর্গন্ধ। এসব জন দুর্ভোগ বিষয়ে কোন খবর নেই সংশ্লিষ্টদের। বাজারটিতে জনস্বার্থে উন্নয়ন না থাকলেও জবরদখল বানিজ্য ঠিকই রয়েছে। ক্ষমতার দাপটে যে যেদিকে পারে দখল বানিজ্য অব্যাহত রেখেছে। বাজারের পাশে অবৈধ ভাবে বন ভূমি দখল করে আরামের ঘুমাচ্ছে দখলবাজরা। সবকিছু দেখেও টিনের চশমা পরে রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগে জানা গেছে, মাছ বাজার সংলগ্ন পূর্ব পার্শ্বে ৫/৬ টি কক্ষের টিনসেট ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। প্রতিটি ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে মোটা অংকের স্যালামি ও মাসিক ভাড়া উত্তোলন করা হচ্ছে। কিন্তু এখানকার উৎপাদিত অর্থের কানাকড়িও সরকারি কোষাগারে যাচ্ছে না। মালুমঘাট বাজারের প্রতিটি দোকান এবং মার্কেটের টাকা সরকারি কোষাগারে গেলেও ওখানকার টাকা যায় ব্যক্তিগত পকেটে। এতে প্রতি বছর মোটা অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। তাছাড়া বিষয়গুলো নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই বাজার দায়িত্বরত কারোই।
এ ব্যাপারে বাজার ইজারাদার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানায়, কাঁচা মাছ বাজারের পূর্ব পাশে নতুন টিনসেট মার্কেট থেকে কোনপ্রকার ভাড়া দিচ্ছে না। এর থেকে কোন টাকা সরকারি কোষাগারে যায় না। তার কারণ জানতে চাইলে তিনি বাজার পরিচালনা কমিটির সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
এ বিষয়ে মালুমঘাট বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসহাক অভিযোগ সত্যতা জানিয়ে বলেন, কাঁচা বাজার সেটের গলিতে ব্রিক সলিং ও নালী বসাতে ইতিপূর্বে উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ আসলে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা আবর্জনার স্তুপ অপসারণ করে নালী স্থাপন করা হবে। অপরদিকে মাছ বাজারের পূর্ব প্রান্তে নির্মিত সেড থেকে সরকারি কোষাগারে কোনপ্রকার অর্থ যাচ্ছে না। বারেক নামের এক সিন্ডিকেট প্রধান প্রভাব বিস্তার ও দাপটের মাধ্যমে তারা কোনপ্রকার নিয়মকানুন তোয়াক্কা করছেনা। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করে বাজার কমিটির পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।