শাহীন মাহমুদ রাসেল:
কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বনভোজনের একটি বাস খাদে পড়ে ৩০ জন আহত হয়েছে। আজ (১৮ জানুয়ারি) শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে চাবাগান লম্বা ব্রীজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর পাওয়া গেছে।

এঘটনায় বনভোজনে আসা বাসের যাত্রী পটুয়াখালী, মির্জাগঞ্জের মোঃ শাহাজানের পুত্র আবির(২১), একই এলাকার নাছির উদ্দিনের পুত্র আতিক (২২), আবু বশরের পুত্র মোছাদ্দেক (২২), সাতক্ষীরা জেলার নুরুল আমিনের ছলে সোহান (২২), বরগুনার আমতলীর জালাল উদ্দিনের ছেলে জাহিদ ইসলাম, একই এলাকার মোতাহের হোসাইনের ছেলে জিয়াউল করিম (২৭), ঢাকার আলতাফ হোসাইনের ছেলে নাজমুল হুসাইন(২৫), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের আব্দু শুক্কুরের ছেলে গফুর (২৫), বরগুনা, সদরের খলিলুল্লাহর ছেলে আল আমিন (২৬), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের রফিক উদ্দিনের ছেলে ইউনুচ (২৪), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মোস্তফা গাজীর ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৬), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের হাবিবুর রহমানের ছেলে আব্দুর রউফ (২৫), পটুয়াখালীর মোশারফ হোসাইনের ছেলে আবু মুছা(২৭), কুমিল্লার সুলতান পুরের সুলতান আহমেদেও ছেলে মাহিম ( ২৭), পটুয়াখালীর আবু তৈয়ব সিকদারের ছেলে রাজিব (২৭), যশোরের মোশরাফ হোসাইনের ছেলে বকতিয়ার (২৫), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের জাকির হোসাইনের ছেলে মনজরুল হোসাইন সাকিব (১৯), ঢাকার নজরুল ইসলামের ছেলে ১৮ জুয়েল (২৭), ঢাকার মির্জাপুর এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে ১৯) নোমান (২৭), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের আব্দুল জাব্বারের ছেলে মেহেদী হোসাইন (২৫), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের কবির আহমদেও ছেলে নয়ন (২৬), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মোতাহের হোসাইনের ছেলে নাঈম হুসাইন(২২), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের আলতাফ হোসাইনের ছেলে ফয়সাল (২০), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোশরফ হুসাইন(২৫), পটুয়াখালীর বাচ্চুর ছেলে সাইফুল ইসলাম বাপ্পি (৩০), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের শাহা জামালের ছেলে নিজাম (২৬), পটুয়াখালীর শ্রীনগর এলাকার মোছাদ্দেকের ছেলে সাইফুল ইসলাম(২৭), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের আশরাফ আলীর ছেলে হাসিব (১৯), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের আব্দুল মান্ননের ছেলে সজল (২৬), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের জাকির হোসাইনের ছেলে নজরুল হক সাকিব (১৯), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের নাহিদের ছেলে রহিমা(২৬), শরীয়তপুরের আসাদ আলীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দীক(২৫) , পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের শহিদ ইসলামের ছেলে শফিক (২৪), বরিশালের শহিদুল ইসলামের ছেলে মোনাফ হুসেন সাঈদ (২৫), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বেলাল হোসাইনের ছেলে মোহাম্মদ (২৬) গুরুতর আহত হয়।

মারাত্মক আহত একজন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বনভোজনে বহনকারী ৪৫ আসনের একটি বাস ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বাসটি রামু উপজেলার চাবাগান লম্বা ব্রীজ এলাকা অতিক্রম করার সময় ব্যাটারি চালিত অটো’কে সাইট দিতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ওই বাসে থাকা ৩০ জন আহত হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে কয়েকজনের অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় তাঁদের জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বনভোজনে আসা কামাল নামে একজন বলেন, অটোকে সাইট দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। পাঁচজন বাদে বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার জন্য বনভোজনটি বাতিল করা হয়েছে।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খাইয়ের বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বনভোজনের একটি বাস খাদে পড়ে ৩০ জনের মতো আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে আল্লাহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচিয়েছেন। বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।