মোঃ আবছার কবির আকাশ :

টেকনাফের হোয়াইক্যং পাহাড়ি জনপদের মানুষ ডাকাত আতংকে রয়েছে। এই ব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেছে ভূক্তভোগী এসব মানুষ।

জানাযায়, উপজেলার হোয়াইক্যং পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী পশ্চিম কানজরপাড়া, নয়াপাড়া, নয়াবাজার, পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়া, পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া, কম্বনিয়া পাড়া ও মরিচ্যাঘোনার লোকজন রাতের বেলায় ডাকাত আতংকে রয়েছে।

উনচিপ্রাং ও চাকমারকূল ক্যাম্পের কয়েকটি স্বশস্ত্র চক্র গহীন পাহাড়ে অবস্থান নিয়ে স্থানীয় কিছু দূবৃর্ত্ত চক্রের যোগসাজশে এসব অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে বলে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে।

সম্প্রতি কানজর পাড়া গ্রামে একদল রোহিঙ্গা স্বশস্ত্র দল স্থানীয়দের বাড়ি ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ ও পুলিশ মিলে রুখে দেয়। পূর্বেও কানজর পাড়ার আবু বক্কর নামে ১জনকে মারধর করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এখনো রোহিঙ্গা স্বশস্ত্র ডাকাত দলের

কারণে কানজরপাড়া বাঘঘোনা, করাচি পাড়া, বরখিলের লোকজন রাতের বেলায় বাড়িঘর ছেড়ে অন্য স্থানে গিয়ে রাতযাপন করছে।

হোয়াইক্যং ইউপি’র ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল গাফ্ফার, এই ধরনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

হোয়াইক্যং মডেল ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, এসব এলাকার জনসাধারণকে ভীতি প্রদর্শন, জিম্মি করে এবং লুটপাটের শংকা দিন দিন বাড়ছে। পাহাড়ে অবস্থানকারী স্বশস্ত্র দল দমনে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ দরকার।