ইমরান হোসাইন, পেকুয়া :

বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে। দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে সব ধর্মের মানুষের এমন শান্তিপূর্ণ সহবস্থান আর হয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

শনিবার (১১জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে পেকুয়া কেন্দ্রীয় কালী মন্দির প্রাঙ্গণে পেকুয়া উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাংসদ জাফর আলম।

বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা এখনো সক্রিয় রয়েছে। তারা ধর্মকে পুঁজি করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করতে চায়। তাই আমাদের সে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে সবসময়।

পেকুয়া উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক দিলীপ কুমার শর্মার সভাপতিত্বে ও মাষ্টার দোলন সুশীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামীলীগ নেতা আবু হেনা মোস্তাফা কামাল, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলছুম মিনু, কক্সবাজার জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি উদয় শংকর পাল মিটু, কোষাধ্যক্ষ স্বপন গুহ ও কক্সবাজার জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব এডভোকেট বাপ্পী শর্মা।

আলোচনা সভা শেষে পেকুয়া উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কক্সবাজার জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কার্যকরী সভাপতি এডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু। সম্মেলনে ডাঃ প্রদীপ কুমার সুশীলকে সভাপতি ও অংথোয়াইচিং রাখাইনকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে পেকুয়া উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিলখালী কৃষ্ণ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাষ্টার অনিল কান্তি সুশীল, শিলখালী লক্ষী বাড়ির সভাপতি রঞ্জিত কান্তি সুশীল প্রমুখ।