সিবিএন ডেস্ক :

 

দৈনিক কালের কন্ঠের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বক্তারা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেই জন্মলগ্ন থেকে কালের কন্ঠ এগিয়ে চলছে। কালের কন্ঠ বরাবরই ধারণ করে চলেছে সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিকতা। এমনকি কালের কন্ঠ প্রকাশের এমন একটি দিনকেই বাছাই করে নিয়েছে যেদিনটি বাঙ্গালী জাতির একটি ঐতিহাসিক দিন। বাঙ্গালীর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে স্বদেশে ফিরে আসার দিনটিতেই কালের কন্ঠ’র প্রকাশের দিন।

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দৈনিক কালের কণ্ঠের দশম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার আয়োজিত ‘মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। পত্রিকার দশম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল কক্সবাজার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।।

বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পত্রিকাটির কক্সবাজারস্থ বিশেষ প্রতিনিধি তোফায়েল আহমদ। পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশব্যাপি জেলায় জেলায় এধরণের অনুষ্টানের আয়্জোন করা হয়। কালের কন্ঠ প্রতি বছর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, বীরাঙ্গণা সহ দেশের স্বাধীনতার জন্য আতœত্যাগকারিদের সন্মাননা কর্মসুচি পালন করে থাকে। গতকালের ‘মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা’ অনুষ্টানে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা পালং গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুস সোবহানকে সম্বর্ধিত করা হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুস সোবহান ১৯৭১ সালে সেনাবাহিনীতে চাকুরিকালীন সময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি বান্দরবান ও কক্সবাজারে ১৮ টি সন্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ১৯৯১ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর এই অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা মরিচ্যা পালং গ্রামের মত একটি পশ্চাদপদ এলাকায় নারী শিক্ষার অগ্রসরের জন্য গড়ে তুলেন ‘মুক্তিযোদ্ধা সমঋতি বালিকা বিদ্যালয়।’

পত্রিকাটির দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে কক্সবাজারের এই বীর সেনানীকে ‘সম্মাননা ক্রেস্ট’ তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন। একই অনুষ্ঠানে তাকে ‘উত্তরীয়’ পরিয়ে দেন পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন এবং কালের কন্ঠ পরিবারের পক্ষ থেকে নগদ আর্থিক অনুদান হস্তান্তর করেন কক্সবাজারের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ।

অনুষ্টানে অন্যান্যের মধ্যে নারী সাংসদ কানিজ ফাতেমা আহমদ, কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মজিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের চৌধুরী বক্ততা করেন।

অনুষ্টানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিজুয়ান আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম, রামুর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামমোহন সেন ও সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নাছির উদ্দিন, দৈনিক আজকের দেশবিদেশ সম্পাদক এডভোকেট আয়ুবুল ইসলাম, দৈনিক হিমছড়ির সম্পাদক হাসানুর রশীদ, দৈনিক সকালের কক্সবাজার এর ফরহাদ ইকবাল, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট আয়াছুর রহমান, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি ইকরাম চৌধুরী, দৈনিক প্রথম আলোর ষ্টাফ রিপোর্টার আবদুল কুদ্দুস রানা, বাংলাদেশ টেলিভিশন জেলা প্রতিনিধি জাহেদ সরোয়ার সোহেল, সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, দৈনিক যুগান্তর জেলা প্রতিনিধি শফিউল্লাহ শফি, এসএটিভি জেলা প্রতিনিধি আহসান সুমন, ডেইলী এশিয়ান এইজ জেলা প্রতিনিধি চঞ্চল দাশ গুপ্ত, নয়াদিগন্ত জেলা প্রতিনিধি গোলাম আজম, মোহনা টিভি জেলা প্রতিনিধি আমানুল হক বাবুল, বাংলাটিভি জেলা প্রতিনিধি আমিনুল হক আমিন, একুশে টিভি প্রতিনিধি আবদুল আজিজ, দৈনিক সাঙ্গু ও সিবিএন এর বিশেষ প্রতিবেদক ইমাম খাইর, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ আলম সহ সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্টানের বক্তারা দৈনিক কালের কণ্ঠকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্ভর, অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের জন্য অভিনন্দন জানান। আগামীতে পত্রিকাটি এ ধারা অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক দীপক শর্মা দিপু।

এর আগে সকালে কক্সবাজার শহীদ মিনার থেকে কালের কণ্ঠের শুভ সংঘের উদ্যোগে বর্র্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। যা কক্সবাজার প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় কালের কন্ঠ শুভ সংঘের জেলা সভাপতি রাজীব দেব দাশ, সদস্য আসিফ সাইফুল আবির, নয়ন চক্রবর্তী, সুজয় পাল, জয় চক্রবর্তী, পিন্টু মল্লিক, চৌধুরী তূর্ণা বড়ুয়া, সুষ্মিতা, শ্রাবণ বড়ুয়া, বর্ণিকা চৌধুরী, আফসার উদ্দিন, মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ইল্লু বড়ুয়া, রিন্টু মল্লিক, মিশু দাশ গুপ্ত, মোহাম্মদ আজিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।