সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও জন্মশত বার্ষিকী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ই মার্চ স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়ার পরপরই পাকিস্তানী বাহিনী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পূর্বে তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার অনুপস্থিতে তার নির্দেশনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এদেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন এবং দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর বাঙালী জাতি বিজয় লাভ করেন। বিজয়ের পরেও বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশ পরিপূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করেনি। ১৯৭২ সালে ১০ই জানুয়ারি জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যার্বতনের মাধ্যমে দেশের প্রকৃত স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা লাভ করেছিল।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির জনকের নির্দেশিত পথে জননেত্রী শেখ হাসিনা ৪র্থ বারের মত রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। ৭১ এবং ৭৫ এর ষড়যন্ত্রকারীরা বিভিন্ন সময় দেশের এই অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্থ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। নেতৃবৃন্দ সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অধুনিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল শ্রেণির পেষার মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কানিজ ফাতেমা আহমদ এমপি, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্ণেল (অবঃ) ফোরকান আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট ফরিদুল আলম, সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল করিম মাদু, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বাবু উজ্জ্বল কর। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগ উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম.এ মনজুর। সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলোওয়াত করেন ওলামালীগ সভাপতি মাওলানা নুরুল আলম সরকার।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, এডভোকেট তাপস রক্ষিত, কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম, এডভোকেট সোলতানুল আলম, মিজানুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ নজিবুল ইসলাম। দিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান কায়ছারুল হক জুয়েল, শ্রমিকলীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার, সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনচারী, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি রহিম উদ্দিন, কৃষকলীগ সভাপতি রশিদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হামিদা তাহের, যুব মহিলালীগ সভাপতি আয়েশা সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা চৌধুরী লুনা, ছাত্রলীগ সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়, সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ হোসেন তানিম, তাঁতীলীগ সভাপতি আরিফুল মওলা, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আসিফুল মওলা, ডাঃ পরিমল কান্তি দাশ, এবি ছিদ্দিক খোকন, মোঃ মুহিদ উল্লাহ, মিজানুর রহমান, ওয়াহিদ মুরাদ সুমন, বদিউল আলম আমির, নুরুল আলম পেটান প্রমুখ।

দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং বিকাল ৩টায় লাবনী পয়েন্টে সরকারি কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করা হয়।