ইমাম খাইর, সিবিএন:
কক্সবাজারে সরকারিভাবে হচ্ছে ২০০ শয্যার মাদক নিরাময় কেন্দ্র। যেখানে মাদকাসক্তরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার জন্য থাকা-খাওয়াসহ পাবে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা। ইতোমধ্যে টেকনাফের বাহারছড়া শীলখালী মৌজার ১০ একর জায়গা চিহ্নিত করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ফাইলের অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সোমেন মণ্ডল।

কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)কে তিনি জানান, কক্সবাজারে সরকারীভাবে কোন মাদক নিরাময় কেন্দ্র নেই। যদিওবা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান নোঙর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র ও ফিউচার লাইফ মাদকাসক্তি পুনর্বাসনকেন্দ্র অনেক দিন ধরে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো জানান, চাহিদা হ্রাস, সরবরাহ হ্রাস ও ক্ষতি হ্রাস-এই তিন টার্গেটে তারা কাজ করছে। সেই লক্ষ্যে উখিয়া ও টেকনাফ নিয়ে ‘স্পেশাল জোন’ করা হয়েছে। যেখানে ১ জন উপপরিচালকসহ ২৭ জনের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বর্তমানে এই স্পেশাল জোনে ১৯ জন কর্মরত আছে। সাথে আনসার ব্যাটালিয়নে ১০ সদস্যও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
নিজেদের আভ্যন্তরিক যোগাযোগ ব্যবস্থা (ওয়াকিটকি) আরো বেশী শক্তিশালী করতে টেকনাফের দক্ষিণ হ্নীলায় ২৫০ফিটের ‘ওয়ারলেস টাওয়ার’ স্থাপন করা হয়েছে।
মাদক নির্মূলে গঠন করা হবে নৌ ইউনিট। জাতিসংঘের ইউএনওডিসি থেকে ৩টি স্পীটবোড দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ডিএনসির ১৪ সদস্য শ্রিলংকায় গিয়ে নৌ-প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে।

এদিকে, প্রয়োজনীয় জনবল, লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকলেও থেমে নেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) অভিযান। ৩টি বিশেষ কৌশলে এগুচ্ছে তারা। এক বছরে ৭ কোটি ৪৪ লাখ ১৩ হাজার ৩৫ টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে।

মাদক নির্মূল খুব একটা সহজ কাজ নয়, এটি বড় চ্যালেঞ্জ। দরকার ব্যাপক জনসচেতনতা বলে জানান ডিএনসির সহকারী পরিচালক সোমেন মণ্ডল।

উখিয়া-টেকনাফের স্পেশাল জোন বাদে ৬ উপজেলায় এনফোর্সমেন্টের জন্য মাত্র ৮ জন লোক রয়েছে। মাদকের কারণে আলোচিত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এত কম সংখ্যক জনবল নিয়ে কাজ করা খুবই ঝুঁকি। কক্সবাজার অফিসের জন্য সৃষ্ট পদে জনবল পদায়ন, যানবাহনসহ অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো দরকার বলে জানান ডিএনসির এই কর্মকর্তা।