মোঃ ওসমান গনি:
কক্সবাজার সদর পোকখালী গোমাতলী ব্রীজটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় তৈরী হয়েছে মরণফাঁদ। এই ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে প্রায় ত্রিশ হাজার জনগণ।
উপজেলা সদরে যাওয়ার সহজ পথ হওয়ার ফলে ছোট ও ভারী যানবহন চলাচলে ফুটো ব্রীজে জনদুর্ভোগের শেষ নেই।
স্টীলের ভাঙ্গা পাটাতন দিয়ে সিএনজি, অটো রিকশা ও ছোট বড় গাড়ি চলাচল করতে প্রতিদিনে ঘটেছে দুর্ঘটনা।
যে কোন সময় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
জরাজীর্ণ ব্রীজের লোহার পাটাতন (স্লিপার) ভেঙে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি আটকে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।
ব্রীজ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় বিকল হচ্ছে ছোট-বড় অনেক যানবাহন।
বিষয়টি পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরা হলে উপজেলা প্রশাসনকে তড়িৎ নির্দেশনা দেন সচিব হেলাল উদ্দীন আহমদ।
দেখা গেছে, ইউনিয়নের উত্তর গোমাতলী রাজঘাট থেকে এই সড়ক ধরে ঈদগাঁহ যাতায়াতে এ ব্রীজটি জনগুরুত্বপূর্ণ। পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর গোমাতলীতে ছোট বড় মিলিয়ে শতাধিক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহনের জন্য ব্রীজটি এখন একটি বড়ো বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানতে চাইলে কক্সবাজার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন বলেন, ব্রীজটির বেহাল দশা এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। ব্রিজটি রেফেয়ারিং করার জন্য চেয়ারম্যান বজরার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে । স্কিপ তৈরি করে রেফারিং কাজ শুরু করবে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএইচএম মাহফুজুর রহমান বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এ ব্রীজটি নির্মানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তার আগেই চলাচল উপযোগি করে তুলতে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাধ্যমে ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ করা জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পোকখালী ইইপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে দু’একদিনের মধ্যে ব্রীজের সংস্কারের কাজ শুরুর সম্ভাবনার কথা জানান।
তিনি বলেন, অতি দ্রুত সংস্কারের কাজ শেষ করে চলাচলের উপযোগী হবে বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৩অক্টোবর) দুপুরে সরজমিন ব্রীজ পরিদর্শন করেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল। স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রীজ সংস্কার করার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্ধ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। এলাকাবাসীর একটায় দাবী স্থানীয় সরকারের এলজিইডি সচিব হেলাল উদ্দীন আহমদের নির্দেশনায়, এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের সুপারিশক্রমে, উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েলের আন্তরিকতায় এবং সদর ইউএনও মাহফুজুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগি করবে।