প্রতীকী ছবি

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

নিয়মিত ও বিশেষ অভিযানের পরও মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার বন্ধ হচ্ছে না। পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সীমান্তবর্তী টেকনাফের নাফ নদী। আধুনিক ও উন্নতমানের স্পিডবোট না থাকায় নাফ নদীর অনেক এলাকায় টহল দিতে পারছে না বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। টহলে বার বার বেগ পেতে হচ্ছে। যে কারণে নাফ নদীপথে মাদক পাচার প্রতিরোধে উন্নতমানের স্পিডবোট কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি’র ক্রয় সেলের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে স্থানীয় একজন কর্মকর্তা সিবিএন-কে জানান, দেশের ৪ হাজার ৭২৭ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে মিয়ানমার সঙ্গে সীমান্ত এলাকা রয়েছে ২৭১ কিলোমিটার। এর মধ্যে নাফ নদী অন্যতম। এ পথে নানা অপকৌশলে ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদক পাচার করছে মাদককারবারিরা। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদীকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে, মিয়ানমারের স্থল এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ারও পরিকল্পনাও রয়েছে বাংলাদেশের। এবছর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ কাজে হাত দিচ্ছে সরকার।

উক্ত কর্মকর্তা আরও জানান, বাংলাদেশ- মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় নাফ নদীতে ইয়াবাকারবারিদের প্রতিহত করতে প্রয়োজন আধুনিক ও উন্নতমানের স্পিডবোট। যা বর্তমানে বিজিবি’র কাছে নেই। ফলে নদীতে পর্যাপ্ত টহল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

দেশের সীমান্ত এলাকায় নদীপথগুলো সুরক্ষিত ও অপরাধমুক্ত রাখতে হলে এসব এলাকায় বিজিবি’র পর্যাপ্ত টহল প্রয়োজন। এজন্য উন্নতমানের স্পিডবোট কেনা হচ্ছে।

উন্নতমানের স্পিডবোট কেনার প্রক্রিয়া চলছে উল্লেখ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উক্ত কর্মকর্তা সিবিএন-কে বলেন, সীমান্তে অপরাধ দমন, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচারসহ চোরাচালান বন্ধে কাজ করছে বিজিবি। তবে নদীপথগুলো বিশেষ করে সীমান্তের নাফ নদীতে টহল দিতে উন্নতমানের স্পিডবোট প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, এতে আরও বেশি এলাকা টহল দেওয়া বা নজরদারির আওতায় আনা যাবে।