নিজস্ব প্রতিবেদক :
‘সোনার বাংলায় মুজিববর্ষে, সমাজ কল্যাণ এগিয়ে চলে’ প্রতিপাদ্য বিষয়ের আলোকে কক্সবাজারে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটি সদস্য মো: শামসুল হক টুকু এমপি বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগনকে জনবল হিসেবে পরিনত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার গড়তে সমাজের সকল স্তরের মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকার সবাইকে নিয়ে দেশ উন্নয়নে কাজ করছে। সমাজের সকল মানুষের সেবায় সরকার নানামুখী সেবাদান করছে। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকান্ডের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

২ জানুয়ারী শহীদ দৌলত ময়দানে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাইমুুম সরওয়ার কমল এমপি, কানিজ ফাতেমা আহমেদ এমপি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসাইন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মো: মুজিবুর রহমান মেয়র, সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ আব্দুল মতিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসানমাসুদ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারি পরিচালক মো: সফিউদ্দিন।

জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন তার বক্তব্যে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, কর্তৃক সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় মুক্তিযোদ্ধা সম্মানীভাতা খাতে-৩৫৯, বয়স্ক ভাতা খাতে ৬৫০০৯,বিধবাভাতা খাতে ২১৯৪৬, প্রতিবন্ধীভাতা খাতে ২০২৫৩, দলিতও হরিজনভাত াখাতে ৯৬০এবং হিজড়াভাতা খাতে৬০ জন ভাতা পেয়ে সমাজ সেবা অধিদফতরের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন বলে জানান।

জেলাপ্রশাসন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় সমাজসেবা অধিদফতর কক্সবাজার এর কর্মকর্তা, কর্মচারী, বিভিন উপকারভোগী এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালী, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের মাধ্যমে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত হয়েছে।

অনুষ্ঠান শেষে বয়স্ক, দলিত হরিজন ভাতার বই, সরকারি শিশুপরিবার ও শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, কক্সবাজার এর কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুবর্ণ নাগরিক কার্ড ও জেলা সমাজকল্যাণ পরিষদের অনুদানের চেক বিরতনের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।