শাহেদ মিজান, সিবিএন:

২০১৯ সালকে বিদায় জানাতে লাখো মানুষের সমাগম হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। বিপুল সংখ্যক পর্যটক এবং স্থানীয় লোকজন বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে সৈকতে ভিড় করেন। এতে মানুষের পদভারে ভরে উঠে পুরো সৈকত। শেষ সূর্যাস্তকে আলিঙ্গন করে নানাভাবে মেতে উঠে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এসব পর্যটক ও স্থানীয় লোকজন। তবে এবার পর্যটকের সংখ্য বিগত বছরের চেয়ে কম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সৈকতে বর্ষ বিদায়ের অনুষ্ঠান না থাকা পর্যটকের উপস্থিতি কম বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালকে বিদায় এবং ২০২০ সালকে বরণ করতে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছে বিপুল সংখ্যক পর্যটক। ৩০ ডিসেম্বর থেকে এসব পর্যটকেরা কক্সবাজারে এসেছেন। এতে কক্সবাজার সৈকত পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে। এর মধ্যে বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে পর্যটক এবং জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজন বেলা ৩টা থেকে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধ্যা, পয়েন্ট, কলাতলী পয়েন্টে বিচরণ করেন। গোধূলীতে নামার প্রাক্কালের কানায় কানায় ভরে সৈকত। সমবেত পর্যটক ও স্থানীয় দর্শনার্থীরা নানাভাবে মেতে উঠে সৈকত চরে। সূর্যাস্তের প্রাক্কালে সূর্যকে আলিঙ্গন করে নানা ঢংয়ে ছবি তুলেন সব বয়সের দর্শনার্থী।

এদিকে ২০১৯ সালকে বিদায় এবং ২০২০ সালকে বরণে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন এবং নববর্ষকে বরণ করতে ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে কক্সবাজারে। এই আয়োজনের সঙ্গী হতে কক্সবাজারে সমাগম হয়েছে লক্ষাধিক পর্যটকের। সব মিলে এক জমকালো আয়োজন হচ্ছে পর্যটনের এই নগরে। সার্বিক পরিস্থিতি নিরাপদ রাখতে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সমুদ্র সৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন সিবিএনকে বলেন, থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনে কোন আতশবাজি, পটকা ফুটানো যাবেনা, কোন উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠানও করা যাবে না। পাশাপাশি রাত ১২টার পর উচ্চস্বরে কোন মাইক কিংবা সাউন্ড বাজানো যাবে না। থার্টি ফাস্ট নাইট ও বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। আগামীকাল ২০২০সালের প্রথম দিনও এই বিধি নিষেধ বলবৎ থাকবে।