শাহেদ মিজান, সিবিএন:

সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ সর্বোচ্চ পদক পাচ্ছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন। মাসুদ হোসেন ছাড়াও আরো ১১৮ জনকে এই পদকের জন্য মনোনিত করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশ্যাল অ্যাফেয়ার্স) হায়দার আলী খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। একই সাথে এক আদেশে পদক প্রাপ্তদের প্যারেডে অংশ নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার বিকাল ৩টার সময় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

আগামী ৫ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় পুলিশ সপ্তাহে এই পদক দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদক তুলে দেবেন।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেন জানান, পুলিশের সর্বোচ্চ পদকের জন্য তাঁকে ডাকা হয়েছে। তবে বিপিএম না পিপিএম- এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হননি। আজ মঙ্গলবার বিকালের জানতে পারবেন।

টানা দ্বিতীয় বারের মতো সম্মানজনক পদক বিপিএম পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় এ.বি.এম মাসুদ হোসেন এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘টানা দ্বিতীয়বারের মতো পুলিশের সর্বোচ্চ সম্মাননা পদক পাওয়ায় আমি মহান আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার পালন করার। এই পদক প্রাপ্তি আমাকে দায়িত্বের দায়বদ্ধতা আরো বাড়িয়ে দেবে।’

তিনি বলেন, ‘এই প্রাপ্তি শুধু আমার একার অর্জন নয়। এতে অংশীদার আমার অধীনস্থ সকল সহকর্মী; সর্বোপরি কক্সবাজারের মানুষ। যারা আমাকে আমার দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করেছেন। সবার সহযোগিতা না পেলে আমার পক্ষে কক্সবাজার জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এভাবে সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো না। তাই সবাইকে আমি আমার এই্ পুরস্কারের অংশীদারিত্ব দিচ্ছি।’

জানা গেছে, বরিশালে জন্মগ্রহণকারী পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন ২৪ তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের নিয়োগপ্রাপ্ত একজন মেধাবী ও চৌকস পুলিশ অফিসার। পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (টিআর) পদে দায়িত্বপালনকালীন সময়ে ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর তিনি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পান। ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এ.বি.এম মাসুদ হোসেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেন।

কক্সবাজার যোগ দিয়ে এবিএম মাসুদ হোসেন ইয়াবা কারবারি ও সন্ত্রাসীসহ সব ধরণের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশন শুরু করেন। তাঁর দক্ষ ও বিচক্ষণ নির্দেশনায় টেকনাফসহ কক্সবাজারের বহু ইয়াবা কারবারি নির্মূল হয়েছে। এতে ভয়ংকর ইয়াবার প্রকোপ একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। একই সাথে সকল সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে তিনি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। এভাবে তিনি সন্ত্রাসের জনপদ মহেশখালীর তালিকাভুক্ত শতাধিক জলদস্যু ও সন্ত্রাসীকে আত্মসমর্পণ করিয়েছেন। ইয়াবা, অবৈধ অস্ত্র ও জলদ্যসুর সাথে যুদ্ধ করে তিনি কক্সবাজারকে কালিমা মুক্ত করেছেন- এমন অভিমত কক্সবাজারবাসীর।