সিবিএন ডেস্ক:
সশস্ত্র বাহিনীকে যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে ‘ফোর্সেস গোল’ ২০৩০ প্রণয়ন করেছি। এটি বাস্তবায়নে কাজও শুরু হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীকে আমরা যুগোপযোগী করতে চাই, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে চাই। বঙ্গবন্ধু যখন মিলিটারি একাডেমির উদ্বোধন করেন তখন তিনি বলেছিলেন, একদিন এই একাডেমি বিশ্বের মানসম্মত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে এবং সারা বিশ্বের মানুষ মিলিটারি একাডেমির প্রশংসা করবে। বঙ্গবন্ধুর সেই কথা এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। সত্যি এখন সারা বিশ্বের মানুষ আমাদের মিলিটারি একাডেমি নিয়ে প্রশংসা করে।’
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। সেনাবাহিনীর ৭৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের প্রশিক্ষণের সমাপ্তি ও অফিসার ক্যাডেটদের কমিশন্ড গ্রহণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সরকার গঠন করার পর সেনাবাহিনীতে নারীদের অবস্থান নিশ্চিত করেছি। সেনাবাহিনীকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। কারণ সার্বভৌমত্বের প্রতীক হচ্ছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী হবে যুগোপযোগী ও আধুনিক। এখন যেহেতু প্রযুক্তির যুগ, সেই প্রযুক্তির ওপর আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনেও সশস্ত্র বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। প্রত্যেকটা দেশ যেখানে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যায়, সব দেশ প্রশংসা করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আমাদের সেনাবাহিনী কাজ করে। তাই আমি চাই, আমাদের সেনাবাহিনী আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন হবে, সুপ্রশিক্ষিত হবে।’
‘ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার সাবির নেওয়াজ শাওন ৭৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে সেরা চৌকস ক্যাডেট বিবেচিত হন এবং ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেন। এছাড়া কোম্পানি সিনিয়র আন্ডার অফিসার মো. বরকত হোসেন সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন। পরে ক্যাডেটরা আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেন এবং বাবা-মা ও অভিভাবকরা নবীন অফিসারদের র‌্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী কৃতি ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
সদ্য কমিশন্ডপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই হবে আপনাদের পেশাগত জীবনের প্রধান ব্রত। মনে রাখতে হবে আপনারা এ দেশের সন্তান, জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার সমান অংশীদার হতে হবে আপনাদের। সুযোগ্য নেতৃত্ব, সার্বিক দিকনির্দেশনা, পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম ও আন্তরিকতার মাধ্যমে আপনাদের দেশের সেবা করে যেতে হবে।’
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সেনাবাহিনী প্রধানসহ সশস্ত্র বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।