ফারুক আহমদ, উখিয়া:
উখিয়ায় পারিবারিক সংঘাত ও দ্বন্দ্বের জের ধরে পিতা ও বড় ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছে রাকসেন বড়ুয়া (২৮)।
রোববার ( ২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় রত্নাপালং ইউনিয়নের পূর্ররত্না গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘাতক পিতা সুমন্ত বড়ুয়া (৭০)কে আটক করছে পুলিশ। পৈত্রিক জমির অসঙ্গতি বন্টন ও পিতা কর্তৃক পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছোট ছেলে নির্মমভাবে খুন হন বলে আত্মীয়-স্বজনের অভিমত।
গ্রামবাসীরা জানান বড় ছেলে দিপন বড়ুয়াকে অতিরিক্ত জায়গা দান করা নিয়ে পিতা সুমন্ত বড়ুয়ার সাথে ছোট পুত্র রাকসেনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পিতা পুত্রের পারিবারিক দ্বন্ধ ও জায়গা জমির ঘটনা নিয়ে আদালতে মামলা পর্যন্ত গড়ায়।
নিহতের ভাই রিকু বড়ুয়ার স্ত্রী ওমা বড়ুয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ডাক্তার মুকতার আহমদ বলেন ঘটনার দিন সকালে রাকসন বড়ুয়া খাবার খেতে বাড়িতে আসে। ঘটনাটি জানতে পেরে পিতা সুমন্ত বড়ুয়া ও ছেলে দীপন বড়ুয়া উত্তেজিত গালাগালি শুরু করে। তাকে মারধর করার জন্য এগিয়ে আসলে তিনি ভয়ে খাবার না খেয়ে বাড়ির উত্তর দিকে পালিয়ে যেতে চাইলে পিছনে দাওয়া করে। এক পর্যায়ে রাকসনকে ধরে পিতা ও তার বড় ছেলে উপর্যুপরি চুরিকাঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলে মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়েন। স্হানীয় জনগন রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চৌধুরী ও উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল মনসুর সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। স্থানীয় জনগণের সহায়তায় পিতা সুমন্ত বড়ুয়াকে আটক করে। জড়িত অপর ভাই দিপন বড়ুয়া পলাতক রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান পুলিশকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পিতা বার বার ছেলে রাকসনকে ছুরি আঘাত করে হত্যা করেছে বলে দাবি করলেও স্থানীয় অনেকে বলেন ছেলে দিপন বড়ুয়াও এ হত্যায় জড়িত। তাকে বাঁচানোর জন্য পিতা নিজেই পুত্র হত্যার দায় কাঁদে নিচ্ছেন । বয়োবৃদ্ধ পিতা অবিবাহিত যুবক ছেলেকে একা হত্যা করা অসম্ভব। দিপন তার ছোট ভাই রাকসনকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী বলেন, পারিবারিক কলহ থেকে এ ঘটনা ঘটেছে।
উখিয়া থানার ওসি মো: আবুল মনসুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত পিতা সুমন্ত বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পারিবারিক সংঘাত ও দ্বন্দ্বের বলি রাকসেন বড়ুয়া
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
