শীতের থাবায় কাঁপছে মানুষ

বলরাম দাশ অনুপম

হঠাৎ করেই প্রাবল্য বেড়েছে শীতের। পৌষের শুরুতেই শীত ঢুকে পড়ায় নাকাল অবস্থায় পড়েছেন কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষেরা। অন্যদিকে পৌষের এই কনকনে শীত মোকাবেলায় মানুষেরা একসাথে ছুটছেন গরম পোশাকের খোঁজে। আর এই সুযোগে বিক্রেতারাও বাড়িয়ে দিয়েছেন দাম। রবিবার বিকেলে কক্সবাজার শহরের এন্ডারসন রোড, হকার মার্কেট, ফজল মার্কেট, পৌরসভা মার্কেটসহ বিভিন্ন গরম পোশাক বিক্রির মার্কেট ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে আশার খবর শুনিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ মোঃ আব্দুর রহমান শনিবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে জানান-শনিবার কক্সবাজারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সবোর্চ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈতপ্রবাহের শীতের তীব্রতা গত কয়েকদিন ধরে বাড়লে রবিবার কিংবা সোমবার থেকে শীতের তীব্রতা কমে আসবে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ। এদিকে শনিবার হকার মার্কেট, ফজল মার্কেট, পৌরসভা মার্কেটসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন শীতের পোশাকের দোকান ঘুরে দেখা যায়, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক। মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে ছোট বাচ্চাদের শীতের পোশাকের দাম অতিরিক্ত রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন সাধারণ ক্রেতারা। হকার মার্কেটের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান-গত সপ্তাহের তুলনায় বেচাকেনা জমে উঠেছে। তবে গত দুইদিনেই বেশ ভালো বেচাকেনা হয়েছে। তবে বাজার চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণে শীতের পোশাকের দাম চড়া। কথা হয় শহরের ঘোনারপাড়া থেকে সপরিবারে শীতের কাপড় কিনতে আসা চাকুরীজীবি রনজিত দে’র সাথে। তিনি জানান-গত কয়েকদিন আগে যে শীতের কাপড় ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা ছিল তা দু’দিনের ব্যবধানে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।