হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :
প্রথমবারের মতো কোন জাতীয় দিবসে টেকনাফের প্রতিবন্ধীদের সম্মননা ক্রেস্ট দেয়া হয়েছে। প্রতিবন্ধী হওয়া স্বত্তে¡ও অন্যের কাছে হাত না পেতে স্ব-নির্ভরশীল হয়ে পরিবারের হাল ধরেছে এমন ১০ জনকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা ও উপহার তুলে দেওয়া হয়। এসময় নিজের অনুভুতি ও আত্মনির্ভরশীলের গল্প তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন প্রতিবন্ধী মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সরকারি লোন নিয়ে মুরগীর খামার করে প্রতিমাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় করছি। এতে আমার সংসার ভালই যাচ্ছে। আমাকে অন্যের নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয়না। আমি এভাবে সকল প্রতিবন্ধীকে আত্মনির্ভরশীল হয়ে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি’।
সম্মাননা পাওয়া ১০ জন সফল আতœনির্ভরশীল প্রতিবন্ধীরা হলেন বাহারছড়া জুমপাড়ার শারীরিক প্রতিবন্ধী হামিদুল হক (পানের দোকান), বাইন্যাপাড়ার মুজিবুল হক (মুরগীর ফার্ম), কচ্ছপিয়ার আবুল হোসেন (টমটম চালক), টেকনাফ সদর ছোট হাবিরপাড়ার মোঃ জাকারিয়া (কাঠের ব্যবসা), নাজিরপাড়ার আবুল হাশিম (চা বিক্রি), ছোট হাবিরপাড়ার আমির হোসেন (সব্জী ব্যবসায়ী), দক্ষিণ লেঙ্গুরবিলের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হামিদা বেগম (হাঁস-মুরগী বিক্রি ও ফেরী ব্যবসা), হ্নীলা রোজারঘোনার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নুরুল মোস্তফা (ক্ষুদ্র ব্যবসা), উত্তর আলীখালীর এজাহার মিয়া (কৃষি কাজ), পুরান পল্লানপাড়ার শারীরিক প্রতিবন্ধী আবদুল আজিজ (ক্ষুদ্র ব্যবসা)।
টেকনাফ উপজেলায় বর্তমানে জীবিত মুক্তিযোদ্ধ আছেন মাত্র ৭ জন। এরা হলেন হোয়াইক্যং মহেশখালীয়াপাড়ার জহির আহমদ, হ্নীলা সিকদারপাড়ার আয়ুব বাঙ্গালী, ফুলেরডেইলের আবদুল মুকিচ, টেকনাফ কুলালপাড়ার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফ, হোয়াইক্যং দৈংগাকাটার জাফর আলম, বাহারছড়া দক্ষিণ শীলখালীর লুৎফুর রহমান, হ্নীলা পানখালীর রশিদ আহমদ। এছাড়া মৃত মুক্তিযোদ্ধা আছেন ১৩ জন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ৪ জন এবং মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ২ জন।
উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম সাইফ, কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শফিক মিয়া, টেকনাফ মডেল থানা ওসি (অপারেশন) রাকিবুল হাসান, ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ ফেরদৌস আহমদ জমিরীসহ সরকারী অফিসারবৃন্দ স্ব-স্ব আসন থেকে উঠে মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীদের আসনে গিয়ে বিশেষ সম্মাননা, ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেন।